যে ছয় পরিচালকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে পুলিশকে চিঠি

নিষেধাজ্ঞা চাওয়া ছয় পরিচালক হলেন– আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজিমুল ইসলাম, ইমাম বাটনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী, পরিচালক জেবুন্নেছা আক্তার, হামিদা বেগম ও লোকমান চৌধুরী এবং ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান তাসবীরুল আহমেদ চৌধুরী।

শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানির ছয় পরিচালকের দেশত্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চায় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অতিরিক্ত মহাপরিদর্শকের কাছে গত রোববার চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে পরবর্তী তথ্য না দেওয়া পর্যন্ত এই পরিচালকদের দেশত্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রাখার কথা বলা হয়েছে।

শেয়ারবাজারের তিন কোম্পানির যে ছয় পরিচালকের দেশত্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজিমুল ইসলাম, ইমাম বাটনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী, পরিচালক জেবুন্নেছা আক্তার, হামিদা বেগম ও লোকমান চৌধুরী এবং ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান তাসবীরুল আহমেদ চৌধুরী।

আরও পড়ুন

চিঠিতে বিএসইসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই পরিচালকেরা বিভিন্ন সময় প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও), পুনঃ আইপিও, অধিকারমূলক বা রাইট শেয়ারের মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলন করে। পরে নিজেদের হাতে থাকা বিপুল শেয়ার বাজারে বিক্রি করে দেয়। নানাভাবে বিভিন্ন সময়ে তাঁরা পুঁজিবাজার–সংশ্লিষ্ট আইন লঙ্ঘনের ঘটনাও ঘটিয়েছেন। এসব আইন লঙ্ঘনের ঘটনায় ব্যাখ্যা তলবের জন্য ছয় পরিচালককে কমিশনে ডাকা হলেও তাঁরা কমিশনে উপস্থিত হননি এবং কোনো ব্যাখ্যাও দেননি।

এ অবস্থায় বিনিয়োগকারীদের স্বার্থসুরক্ষায় এই পরিচালকদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য সিআইডির কাছে অনুরোধ জানিয়েছে বিএসইসি। চিঠির অনুলিপি ঢাকার হজরত শাহজালাল, চট্টগ্রামের শাহ আমানত ও সিলেটের ওসমানী বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনের পরিচালক, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও সব স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়েছে।

আইন লঙ্ঘনের ঘটনায় ব্যাখ্যা তলবের জন্য ছয় পরিচালককে কমিশনে ডাকা হলেও তাঁরা কমিশনে উপস্থিত হননি এবং কোনো ব্যাখ্যাও দেননি।

জানতে চাইলে সিআইডির অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ ধরনের চিঠি এখনো আমার হাতে এসে পৌঁছায়নি। এ ধরনের চিঠি সাধারণত সিআইডির নিয়ন্ত্রণকক্ষে আসে। সেখানে এ ধরনের চিঠি এলে তা পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।’

নিয়ম অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নয়তো আদালতের নির্দেশনা লাগে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আদালতের নির্দেশে পুলিশের বিশেষ শাখায় (এসবি) এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা থাকে। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে এই নিষেধাজ্ঞা দেশের সব বিমানবন্দর, স্থলবন্দরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। যার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট বন্দরের ইমিগ্রেশন বিভাগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করে থাকে।