লাভেলো আইসক্রিমের শেয়ারের আবেদন শুরু

দেশের বাজারে লাভেলো ব্র্যান্ডের আইসক্রিম বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান তাওফিকা ফুডস অ্যান্ড অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিও শেয়ারের চাঁদা গ্রহণ শুরু হয়েছে। নতুন বছরের প্রথম কার্যদিবস আজ রোববার থেকে কোম্পানিটির আইপিও আবেদন গ্রহণ শুরু হয়। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এ চাঁদা গ্রহণ কার্যক্রম চলবে।
কোম্পানিটি ১০ টাকা অভিহিত মূল্য বা ফেসভ্যালুতে ৩ কোটি শেয়ার বাজারে ছেড়ে ৩০ কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহ করবে। কোম্পানিটির আইপিওর প্রতিটি বাজারগুচ্ছ বা মার্কেট লটে রয়েছে ৫০০ শেয়ার। সেই হিসাবে একজন বিনিয়োগকারীকে কোম্পানিটির আইপিওতে ন্যূনতম এক লট শেয়ারের জন্য ৫ হাজার টাকা জমা দিতে হবে। আইপিওর মাধ্যমে সংগ্রহ করা পুঁজি কোম্পানিটি যন্ত্রপাতি ক্রয়, শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র ও গাড়ি ক্রয় এবং ব্যাংকঋণ পরিশোধে খরচ করবে।

বর্তমানে বাংলাদেশে আইসক্রিমের বাজারটি ২ হাজার কোটি টাকার। প্রতিবছর এ বাজারের আকার ২০ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গ্রামগঞ্জ ও শহর মিলিয়ে দেশের প্রায় দেড় লাখ দোকানে আইসক্রিম বিক্রি হয়।

লাভেলোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বর্তমানে বাংলাদেশে আইসক্রিমের বাজারটি ২ হাজার কোটি টাকার। প্রতিবছর এ বাজারের আকার ২০ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গ্রামগঞ্জ ও শহর মিলিয়ে দেশের প্রায় দেড় লাখ দোকানে আইসক্রিম বিক্রি হয়। দেশের মোট দোকানের মধ্যে মাত্র ২০ শতাংশ দোকানে আইসক্রিম বিক্রি হচ্ছে। সেই হিসেবে দেশে আইসক্রিমের বাজারের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। এ খাতে বর্তমানে সব মিলিয়ে দেড় থেকে দুই হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে। কর্মসংস্থান রয়েছে প্রায় ৩০ হাজার লোকের।

আইপিও আবেদনের সঙ্গে কোম্পানিটি নিরীক্ষিত যে আর্থিক প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল, তাতে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর শেষে এটির শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস ছিল ১ টাকা ২০ পয়সা।

এদিকে, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পর লাভেলো নামেই এটির লেনদেন হবে। ময়মনসিংহের ভালুকায় ৪৮ বিঘা জমির ওপর এটির কারখানা গড়ে তোলা হয়েছে। গত বছরের অক্টোবরে কোম্পানিটির আইপিও প্রস্তাব অনুমোদন করে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। নতুন বছরের প্রথম কার্যদিবস থেকে এটির আইপিওর চাঁদা গ্রহণ শুরু হয়েছে। আইপিও আবেদনের সঙ্গে কোম্পানিটি নিরীক্ষিত যে আর্থিক প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল, তাতে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর শেষে এটির শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস ছিল ১ টাকা ২০ পয়সা।