সরকারি কর্মচারীদের গৃহঋণে সুদের হার আরও কমল

সহজে বাড়ি নির্মাণ বা ফ্ল্যাট কেনার জন্য সরকারি কর্মচারীদের ঋণে সুদের হার আরও কমিয়েছে সরকার। ব্যাংক ব্যবস্থার মাধ্যমে সরকারি কর্মচারীদের স্বল্প সুদে গৃহঋণ দিতে ২০১৮ সালে যে নীতিমালা করেছিল অর্থ মন্ত্রণালয়, সুদের হারের দিক থেকে এখন তা আরও শিথিল করেছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ আজ সোমবার নীতিমালা সংশোধন করে গৃহঋণের সুদের হার সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ নির্ধারণ করেছে। বুধবার অর্থাৎ ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে তা কার্যকর হবে। এই হার আগে ছিল সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ। আর আগেও তা ছিল সরল সুদ, এখনো তা–ই। অর্থাৎ সুদের ওপর কোনো সুদ আরোপ করা হবে না।

মূল নীতিমালায় বলা হয়েছে, ১০ শতাংশের মধ্যে ব্যাংক হার অর্থাৎ ৫ শতাংশ সুদ দেবেন ঋণ গ্রহণকারী, বাকি ৫ শতাংশ সরকার ভর্তুকি হিসেবে দেবে। নীতিমালার ৭.১ (ঘ) (৩) অনুচ্ছেদ সংশোধন করে সুদের হার ৯ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, নতুন সুদের হার শুধু নতুন ঋণগ্রহীতাদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে।

নীতিমালা অনুযায়ী চাকরির গ্রেড মেনে ২০ লাখ থেকে ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত গৃহঋণ পাবেন সরকারি কর্মচারীরা। শুরুতে বেসামরিক ও সামরিক কর্মচারীদের জন্য এ সুবিধা চালু করা হলেও পরে বিচারক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরাও এ তালিকায় যুক্ত হন।

বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনসহ সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংক প্রায় এক বছর ধরে স্বল্প সুদে এ ধরনের ঋণ দিয়ে আসছে।