সিআইপির মতো কৃষি খাতে এআইপি পুরস্কার দেওয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে সচিবালয়ে সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত কসোভোর রাষ্ট্রদূত গুনার ইউরিয়া। ছবি: পিআইডি
কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে সচিবালয়ে সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত কসোভোর রাষ্ট্রদূত গুনার ইউরিয়া। ছবি: পিআইডি

কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সফল কৃষক ও ভালো উৎপাদনকারীকে সিআইপির (কর্মাশিয়ালি ইমপর্ট্যান্ট পারসন) মতো এআইপি (অ্যাগ্রিকালচারাল ইমপর্ট্যান্ট পারসন) পুরস্কার দেওয়ার প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়েছে। এআইপি পুরস্কার পাওয়া ব্যক্তিরা সিআইপির মতো সুযোগ-সুবিধা পাবেন। এআইপি পুরস্কারের জন্য শিগগিরই সফল কৃষক ও ভালো উৎপাদনকারীদের কাছ থেকে দরখাস্ত আহ্বান করা হবে।

আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে কিছু দেশ থেকে খাদ্যপণ্য আমদানি বন্ধ থাকলেও বাংলাদেশে খাদ্যে কোনো ঘাটতি হবে না। বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি আমদানি করে ভোজ্যতেল। যার সিংহভাগ আসে মালয়েশিয়া থেকে। এ ক্ষেত্রে করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা কম।

এর আগে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে সচিবালয়ে সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত কসোভোর রাষ্ট্রদূত গুনার ইউরিয়া। এ সময় ইউরিয়া বাংলাদেশ থেকে কসোভোতে শাকসবজি আমদানির আগ্রহ দেখান।

সাক্ষাৎকালে দুই দেশের কৃষি, প্রাণিসম্পদ এবং ডেইরি নিয়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়। এ সময় কসোভোর রাষ্ট্রদূত গুনার ইউরিয়া কৃষির ওপর পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর এবং বাংলাদেশ থেকে শীতকালীন শাকসবজি আমদানির আগ্রহ জানান। এ ছাড়া তিনি যুদ্ধের সময় কসোভোর ধ্বংসপ্রাপ্ত পোল্ট্রি ও ডেইরি শিল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন।

কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশে একসময় কৃষি খাত কম উৎপাদনশীল ছিল। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের নানাবিধ উদ্যোগ এবং কৃষি খাতে প্রণোদনার ফলে কৃষিতে অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। বাংলাদেশের এসব অভিজ্ঞতাকে কসোভো কাজে লাগাতে পারে। সে ক্ষেত্রে দুই দেশের একসঙ্গে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে।