সীমিত পরিসরে কমিউনিটি সেন্টার চালুর দাবি মালিকদের

অনুষ্ঠান হচ্ছে না কমিউনিটি সেন্টারে। ফলে কষ্টে আছেন মালিকসহ কর্মীরা।

দেশের কমিউনিটি সেন্টারগুলো সীমিত পরিসরে খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন কমিউনিটি সেন্টারের মালিকেরা। আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ কমিউনিটি সেন্টার কনভেনশন হল অ্যান্ড ক্যাটারিং অ্যাসোসিয়েশন (বিসিসিএ) অর্ধেক মানুষ নিয়ে অনুষ্ঠান করার অনুমতি চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বরাবর চিঠি দিয়েছেন।

চিঠিতে বিসিসিএ জানায়, সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ থাকায় সারা দেশের চার হাজার প্রতিষ্ঠানের প্রতি মাসে লোকসান হচ্ছে প্রায় ১০০ কোটি টাকা। এর সঙ্গে ডেকোরেটরের ক্ষতির পরিমাণ আরও ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকা। এ ছাড়া অনুষ্ঠান আয়োজনের সঙ্গে আরও জড়িত আছে ফটোগ্রাফি, সাজসজ্জা ও লজিস্টিকের মতো বেশ কিছু ব্যবসা। সব মিলিয়ে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ২০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয় এ খাতে। অনুষ্ঠান না হওয়ায় তাঁরা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

বিসিসিএ সভাপতি ও রাজধানীর প্রিয়াঙ্কা কমিউনিটি সেন্টারের মালিক শাহ জাকির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের পিঠ দেয়ালে একদম ঠেকে গেছে। অনেকেই ব্যবসা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন। এ রকম চলতে থাকলে ব্যবসা টিকিয়ে রাখা যাবে না।’

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ রোধে সরকার গত এপ্রিলের শুরুতে সব হোটেল, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করে। একই সঙ্গে সব ধরনের জনসমাবেশ, সামাজিক অনুষ্ঠান, রাজনৈতিক অনুষ্ঠান ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা করা হয়। এতে আবার বন্ধ হয়ে যায় কমিউনিটি সেন্টার ব্যবসা।

এর আগে গত বছর করোনার প্রাদুর্ভাবের সময় বন্ধ করে দেওয়া হয় সব কমিউনিটি সেন্টার। পরে চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক হলে সেপ্টেম্বরে সীমিত অতিথি নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে কমিউনিটি সেন্টারগুলো খুলে দেওয়া হয়। এরপর শীতকালে সামাজিক অনুষ্ঠানের সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে যায়। মার্চে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে আবার বন্ধ করে দেওয়া হয় কমিউনিটি সেন্টারগুলো। জনস্বাস্থ্যবিদদের অভিযোগ, শীতকালে সামাজিক জমায়েত বেড়ে যাওয়ার কারণেই মূলত করোনা সংক্রমণ আবার বেড়ে যায়।

চিঠিতে আরও জানানো হয়, আয় না হওয়া সত্ত্বেও কমিউনিটি সেন্টারগুলোকে বাড়িভাড়া, আয়কর, কর্মচারীদের বেতন ও পরিষেবা বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে; যা তাঁদের পক্ষে বহন করা কঠিন হয়ে উঠেছে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে হোটেল–রেস্তোরাঁর মতো অর্ধেক আসন খালি রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বল্প পরিসরে কমিউনিটি সেন্টার খোলা রাখার অনুমতি চেয়েছেন কমিউনিটি সেন্টারের মালিকেরা।