স্কয়ারের পর এবার বিএসআরএমকে ঋণ দিল এইচএসবিসি

এইচএসবিসি

দ্য হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন (এইচএসবিসি) বাংলাদেশ এবারে বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলসকে (বিএসআরএম) ২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ‘সাসটেইনেবিলিটি লিংকড লোন’ নামের ঋণ দিয়েছে, যা বাংলাদেশের প্রায় ২৫০ কোটি টাকার সমান।

এ ব্যাপারে এইচএসবিসি বাংলাদেশ ও বিএসআরএম গ্রুপের মধ্যে একটি বিশেষ ধরনের ঋণ চুক্তি হয়েছে। কম কার্বন নিঃসরণের মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষা করবে, এমন সব বাণিজ্যিক উদ্যোগে এই ঋণ দেয় এইচএসবিসি। আবার ঋণগ্রহীতা নির্ধারিত কিছু লক্ষ্য অর্জন করতে পারলে ঋণের সুদও কমে আসে।

এর আগে বহুজাতিক ব্যাংক এইচএসবিসি একই ধাঁচে স্কয়ার গ্রুপের গাজীপুরের একটি সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পসহ অন্যান্য পরিবেশবান্ধব উদ্যোগে ১১ কোটি ৮০ লাখ ডলার বা প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার ঋণ দেয়। এই ঋণও দীর্ঘ মেয়াদে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার নিশ্চিতের জন্য প্রদান করা হয়।

এইচএসবিসি বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, চুক্তি অনুযায়ী ঋণগ্রহীতা পূর্বনির্ধারিত কিছু সূচক বা লক্ষ্যমাত্রা (এসপিটি) অর্জনে সক্ষম হলে সুদের পরিমাণ কমবে। এই ঋণ গ্রাহককে চুক্তির মেয়াদে তার প্রতিষ্ঠানের টেকসই প্রোফাইল উন্নয়নে উৎসাহিত হবে।

ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে আয়োজিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম কার্যালয়ের নির্বাহী পরিচালক আহমেদ আলী। উপস্থিত ছিলেন বিএসআরএমের চেয়ারম্যান আলীহুসেইন আকবরআলী; এইচএসবিসির এনভারনমেন্টাল, সোশ্যাল ও করপোরেট গভর্ন্যান্স (ইএসজি) সলিউশনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাথান ড্রিউ; এইচএসবিসি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী মো. মাহবুবউর রহমান, হোলসেল ব্যাংকিং বিভাগের প্রধাম কেভিন গ্রিন প্রমুখ।

আহমেদ আলী বলেন, ‘বাংলাদেশে ব্যাংকের লক্ষ্য হলো টেকসই অবকাঠামো গড়ে তোলা এবং সেটাকে মূল ব্যাংকিং ও অর্থনৈতিক কার্যক্রমে পরিবেশবান্ধব ব্যাংকিং এবং সিএসআর কার্যকর করার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা। শিগগিরই ব্যাংকগুলোর সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে আমরা অত্যাধুনিক টেকসই অর্থনৈতিক অবকাঠামো প্রণয়ন করতে চলেছি। ইতিপূর্বে বাংলাদেশ ব্যাংক গ্রিন প্রোডাক্টগুলোর অর্থনৈতিক খাতগুলোকে সম্প্রসারিত করার লক্ষ্যে সৌরশক্তি, বায়োগ্যাস ও এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট খাতে ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে।’

মো. মাহবুবউর রহমান বলেন, ‘সম্প্রতি এইচএসবিসি ক্লিন এনার্জি ও লো-কার্বন প্রযুক্তিনির্ভর অর্থায়ন ও বিনিয়োগকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে কার্বন নিঃসরণকে শূন্যে নামিয়ে আনার কঠিন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছে; যা একটি শক্তিশালী ও টেকসই অর্থনীতি গড়ায় সহায়ক হবে। বিএসআরএমের সঙ্গে মিলেও সাসটেইনেবিলিটি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ভূমিকা রাখতে পেরে আমরা আনন্দিত।’

আলীহুসেইন আকবরআলী বলেন, ‘এইচএসবিসির মতো আমরাও সব সময় আমাদের শিল্পাঙ্গনে ও সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন
আনয়নে সচেষ্ট।’