'অনুরোধে' আবার সভাপতি হচ্ছেন সেলিম ওসমান

সাংসদ সেলিম ওসমান। ছবি: বিকেএমইএর ওয়েবসাইট
সাংসদ সেলিম ওসমান। ছবি: বিকেএমইএর ওয়েবসাইট

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে সদস্যদের অনুরোধে আবারও নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর নেতৃত্ব নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সেলিম ওসমান।বর্তমানে তিনি সংগঠনটির সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ।

বিকেএমইএর কার্যালয় থেকে গতকাল রোববার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাংসদ সেলিম ওসমান ঘোষণা দিয়েছিলেন, ২০১৯-২১ মেয়াদে সংগঠনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না। তাঁর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গত বুধ থেকে শুক্রবার পর্যন্ত কোনো শিল্পমালিক মনোনয়নপত্র কেনেননি। পরে তাঁদের অনুরোধে সেলিম ওসমান গত শনিবার মনোনয়নপত্র কেনেন। সেই সঙ্গে অন্যরাও মনোনয়নপত্র কেনেন।

অবশ্য সংগঠনটির নেতৃত্বের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কেউ কেউ বলছেন, আবারও বিকেএমইএর সভাপতি হতে কৌশলের আশ্রয় নিয়েছেন সেলিম ওসমান। তাই তিনি মনোনয়নপত্র কেনার পর সংগঠনের ২৭ পরিচালক পদের বিপরীতে সমানসংখ্যক মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। শেষ পর্যন্ত সেলিম ওসমানের নেতৃত্বেই নতুন কমিটি হতে যাচ্ছে।

বিকেএমইএর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল সেলিম ওসমানের নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জের ১৫ জন, মনসুর আহমেদের নেতৃত্ব ঢাকার ৭ জন এবং গাওহার সিরাজের নেতৃত্বে চট্টগ্রামের ৫ জন শিল্পমালিক নির্বাচন বোর্ডের সভাপতি মোহাম্মদ আলীর কাছে মনোনয়ন জমা দেন।

২০১০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বিকেএমইএর সভাপতির পদে আছেন সেলিম ওসমান। ২০১৯-২১ মেয়াদের জন্য সভাপতি হলে তিনি টানা ১১ বছর সংগঠনের শীর্ষ পদে দায়িত্ব পালন করবেন। পোশাকশিল্প মালিকদের আরেক সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি পদেও সাড়ে তিন বছরের বেশি কেউ দায়িত্ব পালন করেননি। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিকেএমইএর একাধিক নেতা জানান, চলতি বছর সংগঠনের কয়েকজন নেতাকে সেলিম ওসমান জানান, তিনি আর নির্বাচন করবেন না। তবে একই সঙ্গে তিনি ১ সেপ্টেম্বর রাইফেল ক্লাবে এক সভায় তাঁর অনুসারী শিল্পমালিকদের দিয়ে দাবি তোলেন, সংগঠনের সভাপতি পদে সেলিম ওসমানকে দরকার। 

সংগঠনের বর্তমান কমিটির আগের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ২০১৬ সালে দুই দফায় এক বছর সময় বাড়িয়ে নেন সেলিম ওসমান।