চিকিৎসক নিয়োগে বিশেষ বিসিএস, বিজ্ঞপ্তি চলতি মাসেই

প্রতীকী ছবি

৪২তম বিশেষ বিসিএস থেকে দুই হাজার চিকিৎসক নিতে বিধিমালা সংশোধন করেছে সরকার। আজ বুধবার বিজি প্রেসের ওয়েবসাইটে এই প্রজ্ঞাপনের কপি প্রকাশ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসি সূত্র প্রথম আলোকে বলে, ‘আমরা বিধিমালা সংশোধন করতে জনপ্রশাসনে চিঠি দিয়েছিলাম। এখন যেহেতু এটি হয়ে গেছে, তাই এটি নিয়ে আগামী সপ্তাহে কমিশন বিশেষ সভা করবে। খুব সম্ভবত এই মাসেই বিশেষ এই বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হতে পারে।’

করোনা মোকাবিলায় বিশেষ বিসিএসসের মাধ্যমে আরও দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিতে চলেছে পিএসসি। আগে ৩৯তম বিসিএসে (বিশেষ) ২০০ নম্বরের এমসিকিউ এবং ১০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে পাঁচ হাজারের মতো চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।

করোনাভাইরাস বিস্তারের পর চিকিৎসক–সংকটের কারণে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা ও অন্য রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতালগুলো। আক্রান্ত হয়েছেন চিকিৎসকও। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন সাপেক্ষে স্বাস্থ্য থেকে পিএসসিতে চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগের চাহিদাপত্র পাঠানো হয়।

পিএসসি জানায়, করোনায় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুসারে ৩৯তম বিসিএসের নন–ক্যাডার থেকে দুই হাজার চিকিৎসক নেওয়া হয়। তাঁরা ক্যাডার হিসেবে নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত হন ৩৯তম বিসিএসের অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে। স্বাস্থ্য ক্যাডারের সহকারী সার্জন হিসেবে তাঁদের নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। করোনায় ৫ হাজার ৫৪ জন নার্স নিয়োগের সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন ২০১৮ সালের সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগ পরীক্ষার অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে।

২০১৮ সালের ১০ এপ্রিল চিকিৎসকদের জন্য ৩৯তম বিশেষ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। ওই বছরের ৩ আগস্ট প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৩৭ হাজার ৫৮৩ জন অংশ নেন। পরীক্ষায় পাস করেন ১৩ হাজার ৭৫০ জন চিকিৎসক। চূড়ান্ত মৌখিক পরীক্ষার পর ৮ হাজার ৩৬০ জন উত্তীর্ণ হন। সেখান থেকে ৪ হাজার ৭৯২ জন চিকিৎসককে নিয়োগের সুপারিশ করে পিএসসি। গত বছরের নভেম্বর মাসে তাঁদের মধ্য থেকে ৪ হাজার ৪৪৩ জনকে স্বাস্থ্য ক্যাডারে নিয়োগ দিয়ে আদেশ জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বাকিরা অপেক্ষমাণ তালিকায় ছিলেন। ওই তালিকা থেকে এ বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি ওই ৫৩৫ জন চিকিৎসককে মেডিকেল অফিসার হিসেবে পরিবার পরিকল্পনা কল্যাণ অধিদপ্তরে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছিল। এ ছাড়া আরও ২৯ জনকে অন্যান্য দপ্তরে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। সরকার নতুন করে দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে পিএসসি নন-ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত ৫৬৪ জনের নিয়োগ বাতিল করে দেয়।