অস্ট্রেলিয়ার পার্টনার ভিসায় আসছে পরিবর্তন, যুক্ত হতে যাচ্ছে ইংরেজি দক্ষতা

প্রতীকী ছবি

অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল বাজেটে দেশটির পার্টনার ভিসা প্রোগ্রামে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের কথা উঠেছে। অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দার বিদেশি স্বামী বা স্ত্রীকে অস্ট্রেলিয়ায় আনতে চালু রয়েছে এই পার্টনার ভিসা। এ ভিসায় যুক্ত হতে যাচ্ছে ইংরেজি দক্ষতার আবশ্যিক শর্ত, যা আগে ছিল না। এ ছাড়া আগে একটি ভিসা দিয়েই আবেদনকারী ও স্পনসরকে যাচাই করা হলেও এখন তা হবে আলাদা। চলতি বছরের নভেম্বর থেকে এ পরিবর্তন কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।

সাবক্লাস ৩০৯ ও ১০০ এবং ৮২০ ও ৮০১ নামের দুটি স্ট্রিমে পার্টনার ভিসা চালু রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, অস্ট্রেলিয়ার বাইরে থেকে আসা আবেদনকারীর দ্বিতীয় ধাপের ভিসা, অর্থাৎ সাবক্লাস ১০০ পার্টনার ভিসায় যুক্ত হবে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার আবশ্যিক শর্ত। আর এ শর্ত দেশটির স্থায়ী বাসিন্দা স্পনসর ও ১৮ বছরের বেশি বয়সী সব আবেদনকারীর ওপর জারি হবে। অর্থাৎ আবেদনকারীর পাশাপাশি স্পনসরকেও ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা প্রমাণ করতে হবে। তবে স্পনসর অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক হলে এ শর্ত তাঁকে পূরণ করতে হবে না। যদিও আইইএলটিএস বা সমমানের পরীক্ষায় কত স্কোর করতে হবে, তা এখনো নিশ্চিত নয়। এ নিয়ম শুরুর আগপর্যন্ত জমা দেওয়া কোনো আবেদনে এ শর্তের প্রভাব পরবে না।

এ ছাড়া আগত পরিবর্তনের আওতায় পার্টনার ভিসার স্পনসরশিপ ও ভিসা আবেদন আলাদা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত পার্টনার ভিসার আবেদনপত্রে স্পনসরের তথ্য দেওয়ার মাধ্যমেই স্পনসরশিপ যাচাই করে নেয় অভিবাসন বিভাগ। কিন্তু নতুন পরিবর্তনে প্রথমে স্পনসরশিপ আবেদন করতে হবে। শুধু তাই নয়, স্পনসরশিপ মঞ্জুর হলে তবেই আবেদন করা যাবে মূল ভিসায়। এ ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারেন যাঁরা অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করছেন।

এমন অনেক অস্থায়ী বাসিন্দা রয়েছেন, যাঁরা তাঁদের ভিসার মেয়াদ শেষ হতে চলেছে বলে পার্টনার ভিসার ব্রিজিং ভিসা দিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করতে পারতেন। এমন কোনো পরিকল্পনা যাঁদের রয়েছে, তাঁদের জন্য দ্রুত কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ থাকছে।

*লেখক: অভিবাসন আইনজীবী, সিডনি, অস্ট্রেলিয়া। ই-মেইল: [email protected]