বার কাউন্সিলের পরীক্ষা বিদ্যুৎহীন কক্ষে নেওয়ার অভিযোগ

প্রতীকী ছবি: সাবিনা ইয়াসমিন

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী অন্তর্ভুক্তির এমসিকিউ পরীক্ষা বিদ্যুৎহীন অন্ধকার কক্ষে নেওয়ার অভিযোগ করেছেন পরীক্ষার্থীরা। বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় অন্ধকার কক্ষেই পরীক্ষা নেওয়া হয়। পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত সময়ও বরাদ্দ করা হয়নি।

গতকাল শুক্রবার বেলা তিনটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত এমসিকিউ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৪০ হাজার ৬৯৬ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। রাজধানীর ২৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই পরীক্ষা নেওয়া হয়। এর মধ্যে একটি কেন্দ্র ছিল মগবাজারের শেরে বাংলা স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এই কেন্দ্রে অন্ধকার কক্ষে পরীক্ষা নেওয়ার অভিযোগ করেছেন পরীক্ষার্থীরা। কেন্দ্রটিতে প্রায় দুই হাজার প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন।

মো. ইজাজ উদ্দিন নামের এক পরীক্ষার্থী প্রথম আলোকে বলেন, ‘শেরে বাংলা স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের ১০৫ নম্বর কক্ষে আমার আসন ছিল। কক্ষটিতে ৫০ জনের বেশি পরীক্ষার্থী ছিলাম। পরীক্ষা শুরুর ৪০ মিনিট পর হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যায়। ১০০টি এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর ৬০ মিনিটে করতে হবে। ৩টা ৪০ মিনিটে যখন বিদ্যুৎ চলে যায়, তখন আকাশে মেঘ থাকায় সূর্যের আলোও ছিল না। ওই সময়ে লোডশেডিংয়ের কারণে পুরো রুম রাতের মতো অন্ধকার হয়ে যায়। প্রশ্ন বা উত্তরপত্র কোনোটিই চোখে দেখা যাচ্ছিল না।’

আরও পড়ুন

তিনি আরও বলেন, ‘এমন সময় হল পরিদর্শক আমাদের উত্তেজিত না হয়ে অপেক্ষা করতে বলেন এবং আলোর ব্যবস্থা করে অতিরিক্ত সময় দেওয়ার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন। আমরা বিদ্যুৎ আসার অপেক্ষায় বসে থাকি, কারণ অন্ধকারে প্রশ্নপত্র দেখা যাচ্ছিল না। আমাদের অধিকাংশ পরীক্ষার্থীর অর্ধেক প্রশ্নের উত্তর দেওয়া বাকি ছিল।’

মো. ইজাজ উদ্দিন বলেন, ‘বিকেল চারটায় যখন পরীক্ষা শেষের ঘণ্টা বাজানো হয়, পরীক্ষা পরিচালনা কর্তৃপক্ষের লোকজন আমাদের কক্ষে আসেন এবং আমাদের উত্তরপত্র জমা দিতে বলেন। আমরা হতবাক হয়ে তাঁদের সহযোগিতা চাই। আমাদের সময় বাড়িয়ে দেওয়ার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ আশা দিয়েছিলেন, তা উড়িয়ে দিয়ে আমাদের উত্তরপত্র জমা দিতে বলা হয়। তাঁরা বলেন, উত্তরপত্র জমা না দিলে আমাদের কক্ষের সবার পরীক্ষা বাতিল করা হবে। আমরা বাধ্য হয়ে অসম্পূর্ণ উত্তরপত্র জমা দিই।’

ফয়সাল আহমেদ নামের আরেক পরীক্ষার্থী বলেন, ‘পর্যাপ্ত প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও পরীক্ষা হলের অব্যবস্থাপনার কারণে পুরো পরীক্ষাটা দিতে পারলাম না। শুধু বার কাউন্সিল নয়, বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষা পুরান ঢাকার এমন সব স্কুলে নেওয়া হয়, যেখানে বেঞ্চে বসার উপযোগী থাকে না। অনেক সময় ভাঙা বেঞ্চেই পরীক্ষা দিতে হয়।’