লিখিত পরীক্ষার তিন বছর পর মৌখিকের তারিখ প্রকাশ

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের (পিটিআই) সাধারণ ইনস্ট্রাক্টর পদে লিখিত পরীক্ষার তিন বছর পর মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হলেও এ–সংক্রান্ত রিট মামলার নিষ্পত্তি না হওয়ায় মৌখিক পরীক্ষা দীর্ঘদিন আটকে ছিল।

এদিকে পিটিআই ইনস্ট্রাক্টর নিয়োগ প্রক্রিয়া অনেক দিন আটকে থাকা নিয়ে গত ১৮ নভেম্বরে ‘পাঁচ বছর আটকে নিয়োগপ্রক্রিয়া’ শীর্ষক খবর প্রথম আলোতে প্রকাশিত হয়।

পিএসসির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আগামী ৮ জানুয়ারি থেকে প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা শুরু, চলবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিএসসির প্রধান কার্যালয়ে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। মৌখিক পরীক্ষার জন্য ৪০১ জনের নিবন্ধন নম্বর প্রকাশ করা হয়েছে। এ ছাড়া শর্ত সাপেক্ষে ১০ জনের নিবন্ধন নম্বর প্রকাশ করা হয়েছে।

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শর্ত পূরণ না করায় লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৩০ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে।

২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সাধারণ ইনস্ট্রাক্টর পদে জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। এরপর ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাছাই পরীক্ষা ও জুন মাসে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়।

লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের মধ্য থেকে ৪৫৬ জনকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে ফলাফল প্রকাশ করা হয়। লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের তিন বছর পর মৌখিক পরীক্ষার তারিখ প্রকাশ করল পিএসসি।

বর্তমানে সারা দেশে ৬৭টি প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট রয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মানসম্মত প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য পিটিআইগুলোয় ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারি এডুকেশন (ডিপিএড) কোর্স করানো হয়, যেটির মেয়াদ ১৮ মাস। প্রাথমিক ও প্রাক্-প্রাথমিকের সহকারী ও প্রধান শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নের জন্য এই প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক। প্রতিটি পিটিআইয়ে ইনস্ট্রাক্টরের পদ ১৭টি। এর মধ্যে সাধারণ ইনস্ট্রাক্টরের পদ ১২টি। কিন্তু বর্তমানে একেকটি পিটিআইয়ে মাত্র পাঁচ থেকে ছয়জন সাধারণ ইনস্ট্রাক্টর আছেন। তাই পর্যাপ্ত ইনস্ট্রাক্টর না থাকায় প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।