কুড়িগ্রাম জেলা থেকে সমাবেশে এসেছেন শিক্ষক আলী আহমেদ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘দাবি আদায়ে আমরা কুড়িগ্রাম জেলা থেকে প্রায় ২৫০ শিক্ষক এ সমাবেশে এসেছি। সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধায় যে বিস্তর বৈষম্য রয়েছে, তা নিরসন চাই। আশা করি, সরকার দ্রুত এ বৈষম্য দূর করবে।’

সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধায় যে বিস্তর বৈষম্য রয়েছে, তা নিরসন চাই। আশা করি, সরকার দ্রুত এ বৈষম্য দূর করবে।
আলী আহমেদ, শিক্ষক

সমাবেশে বক্তারা পাঁচটি দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকদের মতো বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সহকারী প্রধান শিক্ষকদের যথাক্রমে ষষ্ঠ ও সপ্তম গ্রেডে বেতন স্কেল প্রদান, বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান ও সহকারী প্রধান শিক্ষকদের চাকরি জীবনে দুটি উচ্চতর গ্রেড প্রদানের সুস্পষ্ট ঘোষণা, আসন্ন ঈদে শতভাগ উৎসব ভাতা প্রদান, বেসরকারি শিক্ষকদের ঐচ্ছিক বদলি এবং প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকদের এনটিআরসিএর মাধ্যমে নিয়োগের ব্যবস্থা করা এবং মাধ্যমিক শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ করা।

বাংলাদেশ সহকারী শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সব চাকরিতে বদলি ব্যবস্থা থাকলেও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারীদের বদলির ব্যবস্থা নেই। আমরা ঐচ্ছিক বদলি ব্যবস্থা চাই, যার জন্য সরকারের কোনো আর্থিক ব্যয় বাড়বে না।’