এনটিআরসিএ’র পদ খালির পরও যে কারণে সুপারিশ পাননি ৫ হাজারের বেশি প্রার্থী

ফাইল ছবি

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) গতকাল বুধবার রাত ১১টার দিকে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির আওতায় প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ২৭ হাজার ৭৪ জন প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য সুপারিশের ফল প্রকাশ করেছে। মোট পদ ছিল ৩২ হাজার ৪৮০টি। কিন্তু নিয়োগের সুপারিশ পেয়েছেন ২৭ হাজার ৭৪ জন। এখানে ৫ হাজারের বেশি চাকরিপ্রার্থী পদ খালি থাকার পরও নিয়োগ সুপারিশ পাননি। কেন এত বিপুল পদ খালি? সেই প্রশ্নের উত্তরের ব্যাখ্যা দিয়েছে নিয়োগের সুপারিশকারী প্রতিষ্ঠানটি।

এনটিআরসিএ সূত্র জানায়, প্রার্থীদের আবেদনের চিত্র বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, কোনো বিষয়ে অনেক আবেদন জমা পড়েছে। যেখানে সব প্রার্থীকে নিয়োগের সুপারিশ করা যায়নি। আবার কোনো কোনো বিষয়ে আবেদন কম পড়েছে কিন্তু সেসব বিষয়ে বেশিসংখ্যক প্রার্থীর নিয়োগ দেওয়ার সুযোগ ছিল। যেমন চারুকলা বিষয়ে অনেক পদ খালি ছিল কিন্তু আবেদন জমা পড়েছে কম।

আরও পড়ুন

আবার সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ে যত পদ খালি ছিল, সেখানে আবেদন এসেছে দশ গুণ। আবার একটি বিষয়ে পদ আছে ৪ হাজার, আবেদন করেছেন ৪২ হাজার প্রার্থী। এ রকম পরিস্থিতিতে পদ খালি না থাকা সবাইকে নিয়োগ দেওয়া যায়নি। পদ খালি ছিল, প্রার্থীরা আবেদন করেছেন কিন্তু সুযোগ থাকার পরও এনটিআরসিএ নিয়োগের সুপারিশ করেনি, এমনটা হয়নি। তবে যেসব পদে নিয়োগ দেওয়া যায়নি, তা অন্য গণবিজ্ঞপ্তি থেকে পূরণের উদ্যোগ নিচ্ছে এনটিআরসিএ।

এনটিআরসিএ সূত্র আরও জানায়, প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের মধ্যে ৩ হাজার ৬০৭ জন পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য ভিআর ফরম দাখিল না করায় এবং অবশিষ্ট ১ হাজার ৭৯৯ জনের মধ্যে জাল সনদ পাওয়ায়, কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকায়, বয়স ৩৫ বছর অতিক্রম করা, নিবন্ধন সনদ না থাকা সত্ত্বেও ভুল পদে আবেদন করায়, মামলার স্থগিতাদেশ থাকাসহ নানা কারণে নিয়োগে সুপারিশ করা সম্ভব হয়নি।

আরও পড়ুন

২০২২ সালের ২১ ডিসেম্বর ৬৮ হাজার ৩৯০ জন শিক্ষক নিয়োগের চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। ৬৮ হাজার ৩৯০টি শূন্য পদের মধ্যে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে ৩১ হাজার ৫০৮টি শূন্য পদ। মাদ্রাসা, কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শূন্য পদ ছিল ৩৬ হাজার ৮৮২টি। সব কটি এমপিওভুক্ত পদ। চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনকারী এক লাখের বেশি নিবন্ধনধারী চাকরিপ্রার্থী।

আরও পড়ুন