ইউনিয়ন সমাজকর্মী পদের চূড়ান্ত ফল চলতি সপ্তাহে হতে পারে

প্রতীকী ছবি: প্রথম আলো

সমাজসেবা অধিদপ্তরের ইউনিয়ন সমাজকর্মী পদের চূড়ান্ত ফল চলতি সপ্তাহের যেকোনো দিন প্রকাশ করা হতে পারে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কারিগরি সহায়তায় ইতিমধ্যে ফল প্রস্তুত করা হয়েছে।

সমাজসেবা অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, ‘ইউনিয়ন সমাজকর্মী পদের ফল চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। বুয়েট ইতিমধ্যে ফলাফল প্রস্তুত করেছে। বুয়েট কর্তৃপক্ষ কয়েক দিনের মধ্যে আমাদের কাছে ফলাফল হস্তান্তর করবে। এরপর আমরা অধিদপ্তরে বৈঠক করে ফল প্রকাশ করব। আশা করছি, চলতি সপ্তাহে ফল প্রকাশ করা সম্ভব হবে।’

ইউনিয়ন সমাজকর্মী পদের নিয়োগপ্রক্রিয়া দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে চলছে। এর আগে সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে বলা হয়েছিল, সেপ্টেম্বরে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হবে। এখন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ফল প্রকাশের সময় অক্টোবরের চলতি সপ্তাহের কথা বলা হচ্ছে।

সমাজসেবা অধিদপ্তরের ইউনিয়ন সমাজকর্মী পদে জনবল নিয়োগের জন্য ২০১৮ সালে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের চার বছর পর লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয় গত বছর। চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৮ মার্চ মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। কিন্তু এখনো চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়নি। দীর্ঘ পাঁচ বছরেও নিয়োগপ্রক্রিয়া শেষ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চূড়ান্ত ফলাফলের অপেক্ষায় থাকা চাকরিপ্রার্থীরা।

আরও পড়ুন

ইউনিয়ন সমাজকর্মী পদে যাঁরা আবেদন করেছেন, তাঁদের অনেকের চাকরির বয়স শেষ। আবার অনেকের এটাই ছিল চাকরির শেষ ভাইভা। তাই আশায় আছেন, চূড়ান্ত ফলাফলে ভালো কিছু হবে। কিন্তু দীর্ঘদিনেও চূড়ান্ত ফল পাচ্ছেন না তাঁরা।

সমাজসেবা অধিদপ্তরের তৃতীয় শ্রেণির সমাজকর্মীর (ইউনিয়ন) স্থায়ী রাজস্ব পদে শূন্য পদের সংখ্যা ৪৬৩। আবেদন করেছিলেন ৬ লাখ ৬২ হাজার ২৭০ জন। ২০১৯ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর এ পদে নিয়োগ পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরীক্ষার তিন দিন আগে তা স্থগিত করা হয়। এরপর ২০২১ সালের ২৪ ডিসেম্বর পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়। তবে পরীক্ষার আগের দিন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আবার তা স্থগিত করা হয়।

আরও পড়ুন

বিজ্ঞপ্তির চার বছর পর অবশেষে গত বছরের ২১ অক্টোবর দেশের সব জেলায় ইউনিয়ন সমাজকর্মী পদের লিখিত পরীক্ষা (এমসিকিউ) একযোগে অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় ৬ লাখ ৬২ হাজার ২৭০ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২ লাখ ৩৬ হাজার ৬৪১ জন অংশগ্রহণ করেন। অনুপস্থিত ছিলেন ৪ লাখ ২৫ হাজার ৬২৯ জন।