ছুটিতে থাকা কর্মীর সঙ্গে যোগাযোগে জরিমানা লাখ টাকা

প্রতীকী ছবি: এএফপি

ডিজিটাল যুগের এই দিনে ছুটিতে থাকলেও অফিশিয়াল ই–মেইল, খুদেবার্তা, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে মেসেজ বা ফোনে কর্মীর কাছে সহায়তা চাওয়া এখন যেন স্বাভাবিক হয়ে গেছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে ছুটিতে ওই কর্মী কোন পরিস্থিতিতে আছেন, তা না জেনেই সহায়তা চাওয়া হয়। এতে ওই কর্মী খুব বিরক্ত হন। এবার ছুটিতে থাকা কোনো কর্মীকে এভাবে অফিসের অন্য কোনো কর্মী বিরক্ত করলে তাঁকে এক লাখ রুপি জরিমানা দিতে হবে।

জি নিউজ ও এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের মুম্বাইভিত্তিক ফ্যান্টাসি স্পোর্টস প্ল্যাটফর্ম ড্রিম ১১ নামের একটি কোম্পানি সব কর্মীর জন্য এই আইন চালু করেছে।

‘ড্রিম ১১ আনপ্ল্যাগ’ নামের এই নীতির লক্ষ্য হলো ছুটিতে থাকা কর্মী যেন সময়টা ভালোভাবে কাটাতে পারেন। এই নীতির আওতায় ছুটিতে থাকা কর্মীর কাছে অন্য কোনো কর্মী অফিশিয়াল কাজে কোনোরকম যোগাযোগ করতে পারবেন না। কেউ যদি যোগাযোগ করেন, তাহলে ওই কর্মীকে এক লাখ রুপি জরিমানা দিতে হবে।

প্রতিষ্ঠানটির সহপ্রতিষ্ঠাতা হর্ষ জৈন ও ভাবিত শেঠ বলেন, নতুন এই নীতির আওতায় এক বছরে টানা এক সপ্তাহের ছুটি নেওয়া বাধ্যতামূলক। এই ছুটিতে থাকার সময় কর্মীর কাছে কোনো প্রকার খুদেবার্তা, ই–মেইল বা ফোন যাবে না। ওই ছুটির সপ্তাহটা যেন কর্মীর ভালো কাটে, সে কারণেই এই ব্যবস্থা।

ছুটিতে থাকা কর্মীর কাছে অন্য কোনো কর্মী যদি অফিসের কাজে যোগাযোগ করেন, তাহলে ওই কর্মীকে ১,২০০ ডলার (এক লাখ রুপি) জরিমানা দিতে হবে। এখন পর্যন্ত এ ব্যবস্থা কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।
হর্ষ জৈন, ড্রিম ১১–এর সহপ্রতিষ্ঠাতা

হর্ষ জৈন বলেন, ছুটিতে থাকা কর্মীর কাছে অন্য কোনো কর্মী যদি অফিসের কাজে যোগাযোগ করেন, তাহলে ওই কর্মীকে ১,২০০ ডলার (এক লাখ রুপি) জরিমানা দিতে হবে। এখন পর্যন্ত এ ব্যবস্থা কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ড্রিম ১১ আনপ্ল্যাগ নীতির সুবিধা পেতে কর্মীদের অন্তত এক বছর চাকরি করতে হবে। এক বছর পর থেকে কর্মীরা এই অফিশিয়াল যোগাযোগহীন ছুটি নিতে পারবেন।