যুক্তরাষ্ট্রে ‘সর্বোচ্চ বেতনপ্রাপ্ত’ ভারতীয় সিইওদের তালিকা প্রকাশ, নেই সুন্দর পিচাই ও সত্য নাদেলা
নিকেশা আরোয়া ও যামিনী রানাগন। দুজনই ভারতীয়। দুজনই বিশ্বের দুটি বড় প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)। নিজ নিজ কাজের ক্ষেত্র বা বিভাগে তাঁরা সর্বোচ্চ উপার্জনকারী সিইও হয়েছেন। তাঁদের ধারেকাছেও নেই গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই, মাইক্রোসফটের সিইও সত্য নাদেলাসহ অন্য ভারতীয় সিইওরা।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত এ দুই সিইওর মধ্যে নিকেশা আরোয়া পালো অল্টো নেটওয়ার্কের সিইও এবং যামিনী রানাগন হাবস্পটের সিইও।
যুক্তরাষ্ট্রের ভারতীয় সিইওদের মধ্য নিকেশা আরোয়া ও যামিনী রানাগনের আয় সবচেয়ে বেশি। কমপেনশেসন অ্যাকচুয়াল পেইড (CAP) বা ক্ষতিপূরণের প্রকৃত অর্থের ওপর ভিত্তি করে শীর্ষ ১০ সিইওর এই তালিকা করা হয়েছে। বিজনেস জার্নালের তথ্য ধরে করা এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যামিনী রানাগন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শীর্ষ ১০ সর্বাধিক বেতন পাওয়া নারী সিইওর তালিকায় অষ্টম স্থানে আছেন। তাঁর ২০২৩ সালের বেতন আগের বছরের চেয়ে দ্বিগুণ ছিল।
যামিনী রানাগন প্রযুক্তিশিল্পে ২৪ বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করছেন। তিনি তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুরের ভারতিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক এবং কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর করেছেন যামিনী। এরপর আমেরিকায় উড়াল দিয়ে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বার্কলে থেকে এমবিএ করেন। ২০২৩ সালে কমপেনশেসন অ্যাকচুয়াল পেইড পেয়েছেন ২৫ দশমিক ৮৮ মিলিয়ন ডলার।
নিকেশা আরোয়া দিল্লির এয়ার ফোর্স পাবলিক স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। তিনি গুগলের ব্যবসাসংক্রান্ত বিভাগের প্রধান ছিলেন। তিনি ২০১৪ সালে গুগল ছাড়েন। জাপানের সফটব্যাংকে যোগ দিতেই ছাড়েন গুগল। সেখানে ২০১৮ সাল পর্যন্ত কাজ করেন। এর পর থেকে তিনি সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা পালো অল্টো নেটওয়ার্কসের নেতৃত্বে আছেন। ২০২৩ সালে কমপেনশেসন অ্যাকচুয়াল পেইড পেয়েছেন ১৫১ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার।
২০২৩ সালে অ্যাডোবির সিইও শান্তনু নারায়ণ ৪৪ দশমিক ৯৩ মিলিয়ন ডলার এবং গুগল সিইও সুন্দর পিচাই ৮ দশমিক ৮ মিলিয়ন কমপেনশেসন অ্যাকচুয়াল পেইড আয় করেছেন। শান্তনু নারায়ণ ১১তম স্থানে আছেন।