৪৫তম বিসিএসের প্রিলি পরীক্ষা ১০ মার্চ নেওয়া কঠিন: পিএসসি

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন
ফাইল ছবি

৪৫তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার জন্য আগামী ১০ মার্চ সম্ভাব্য তারিখ থাকলেও ওই সময় পরীক্ষা নেওয়া কঠিন বলে জানিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) একটি বিশ্বস্ত সূত্র। তবে কবে পরীক্ষা নেওয়া হবে, তার জন্য পিএসসি মার্চের প্রথম সপ্তাহে জরুরি একটি বৈঠক ডাকবে। সেখানেই এই পরীক্ষার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

জানতে চাইলে পিএসসির একাধিক সূত্র প্রথম আলোকে জানায়, ‘মার্চের ১০ তারিখ ৪৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেওয়া বেশ ডিফিকাল্ট। তারপরও আমরা মার্চের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত অবস্থা পর্যবেক্ষণ করব। এই সময় বিশেষ সভা করে পরীক্ষার তারিখ ঘোষণার দিন ধার্য করব। পরীক্ষার তারিখ জানতে পরীক্ষার্থীদের আরও অপেক্ষা করতে হবে।’

পিএসসির আরেকটি সূত্র জানায়, পিএসসি পরীক্ষা নিয়ে প্রার্থীদের বিভ্রান্ত করতে চায় না। তাই যখন পরীক্ষা হবে, ঠিক তার আগে আগে ওয়েবসাইটে নির্দিষ্ট তারিখ প্রকাশ করবে।

পিএসসি বলছে, ৪৫তম বিসিএসের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, এতে আবেদন করেছেন ৩ লাখ ৪৬ হাজার প্রার্থী। গত বছরের ৩০ নভেম্বর পিএসসি ওয়েবসাইটে ৪৫তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। আবেদনর শুরু হয় ১০ ডিসেম্বর ও শেষ তারিখ ছিল ৩১ ডিসেম্বর। ৪৫তম বিসিএসের মাধ্যমে মোট ২ হাজার ৩০৯ জন ক্যাডার নেওয়া হবে। নন-ক্যাডারে নেওয়া হবে ১ হাজার ২২ জনকে।

আরও পড়ুন

৪৫তম বিসিএসে ২ হাজার ৩০৯ ক্যাডারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিয়োগ হবে চিকিৎসায়। সহকারী ও ডেন্টাল সার্জন মিলিয়ে ৫৩৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। চিকিৎসার পর সবচেয়ে বেশি শিক্ষা ক্যাডারে, নিয়োগ পাবেন ৪৩৭ জন। এ ছাড়া পুলিশে ৮০, কাস্টমসে ৫৪, প্রশাসনে ২৭৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।

প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ২০০ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি শুদ্ধ উত্তরের জন্য ১ নম্বর এবং ভুল উত্তর দিলে প্রতিটি ভুলের জন্য মোট প্রাপ্ত নম্বর থেকে ০.৫০ নম্বর করে কাটা যাবে।

এদিকে ৪৫তম বিসিএসের আবেদন করতে গিয়ে সমস্যা হওয়ায় ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পদের কোড সংশোধন করেছে পিএসসি। এবারই প্রথমবারের মতো ক্যাডার পদের পাশাপাশি নন-ক্যাডার পদের সংখ্যা উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে পিএসসি।

আরও পড়ুন

আবেদনের সময় ক্যাডার পদে যেমন পছন্দ নির্দিষ্ট করে দেওয়া যায়, তেমনি নন-ক্যাডার পদেও পছন্দের তালিকা নির্দিষ্ট করে দিতে পেরেছেন প্রার্থীরা। কিন্তু আবেদন করতে গিয়ে কিছু সমস্যায় পড়েন আবেদনকারীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পদের কোড সংশোধন করে পিএসসি।