শেষ হচ্ছে সাড়ে ৬ লাখ চাকরিপ্রার্থীর ৪ বছরের অপেক্ষা

প্রতীকী ছবি

সমাজসেবা অধিদপ্তরের ইউনিয়ন সমাজকর্মী পদে আবেদনকারী সাড়ে ছয় লাখের বেশি চাকরিপ্রার্থীর চার বছরের অপেক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে। দুবার স্থগিত হওয়া এই পদের পরীক্ষার তারিখ নির্দিষ্ট করা হয়েছে। ২১ অক্টোবর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে সমাজসেবা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।

ইউনিয়ন সমাজকর্মী পদে জনবল নিয়োগের জন্য ২০১৮ সালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল সমাজসেবা অধিদপ্তর। প্রার্থীদের আবেদন শেষে দুবার লিখিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করেও তা স্থগিত করা হয়েছিল। ২০১৯ ও ২০২১ সালে এ পদে পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করে শেষ মুহূর্তে তা স্থগিত করা হয়েছিল।

বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দীর্ঘ চার বছর পর অবশেষে এবার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। একই দিনে দেশের ৬৪ জেলায় ইউনিয়ন সমাজকর্মী পদের পরীক্ষা নেওয়া হবে।

সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক (গবেষণা, মূল্যায়ন, প্রকাশনা ও জনসংযোগ শাখা) রকিব আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ইউনিয়ন সমাজকর্মী পদের লিখিত পরীক্ষার তারিখ ২১ অক্টোবর নির্ধারণ করা হয়েছে। সারা দেশে ৬৪ জেলায় এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

দীর্ঘদিনেও পরীক্ষা না হওয়ায় অনেক চাকরিপ্রার্থী ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছিলেন। এর মধ্যে অনেক আবেদনকারীর চাকরির বয়সও শেষ হয়েছে।

ইউনিয়ন সমাজকর্মী পদে আবেদনকারী মইনুল ইসলাম নামের এক চাকরিপ্রার্থী প্রথম আলোকে বলেন, ‘পরীক্ষার তারিখ নির্দিষ্ট করা হলেও এখনো আমরা প্রবেশপত্র পাইনি। এর আগে দুবার প্রবেশপত্র দিয়েও পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছিল। একবার তো পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ঢাকার বাসে ওঠার পর শুনি, পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। চার বছরেও পরীক্ষা দিতে না পারায় আমার মতো অনেক প্রার্থীই হতাশ।’

সমাজসেবা অধিদপ্তরের তৃতীয় শ্রেণির সমাজকর্মী (ইউনিয়ন) স্থায়ী রাজস্ব পদে শূন্যপদের সংখ্যা ৪৬৩টি। সারা দেশ থেকে সমাজকর্মী পদে আবেদন করেছেন ৬ লাখ ৬২ হাজার ২৭০ জন। সে হিসাবে একটি পদের জন্য লড়বেন ১ হাজার ৪৩০ জন।

২০১৯ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ইউনিয়ন সমাজকর্মী পদে নিয়োগ পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরীক্ষার তিন দিন আগে তা স্থগিত করা হয়। এরপর ২০২১ সালের ২৪ ডিসেম্বর পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে পরীক্ষার আগের দিন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আবার স্থগিত করা হয় এ পরীক্ষা।

পরপর দুবার এ পরীক্ষা স্থগিত হওয়ায় অনেক পরীক্ষার্থী প্রশ্ন ফাঁসেরও অভিযোগ এনেছিলেন। সে সময় সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছিল, প্রশ্ন ফাঁসের তথ্যটি সম্পূর্ণ গুজব। পরীক্ষাসংশ্লিষ্ট সবার মুঠোফোন নম্বর পরীক্ষার দুই দিন আগে থেকেই বন্ধ ছিল।