বছরের শুরুতেই নতুন বিসিএসের ভাবনা পিএসসির

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন
ফাইল ছবি

বিসিএসের সময় কমিয়ে আনতে বছরের শুরুর প্রথম দিনে নতুন বিসিএসের বিজ্ঞপ্তির চিন্তা করছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। বছরের শুরুতে বিজ্ঞপ্তি দিলে ওই বছরের শেষ দিনের মধ্যে যাতে ওই বিসিএস শেষ করা যায়, সেই পরিকল্পনা করছে পিএসসি।

পিএসসি সূত্র জানায়, গত কয়েক বছরে এক বছরে একটি বিসিএস শেষ করার পরিকল্পনা হলেও তা বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। বর্তমানে চার বিসিএসের কার্যক্রম চলছে। তাই এরপর নতুন যে বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি আসবে তার আগে এই বিসিএস যাতে এক বছরে শেষ করা যায়, সেই পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে পিএসসি। পরিকল্পনা অনুসারে বছরের প্রথম দিনে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে। এক বছরে প্রিলিমিনারি, লিখিত ও ভাইভা পরীক্ষা শেষ করা হবে ও বছর শেষ দিনের মধ্যেই ওই বিসিএস শেষ করা হবে।

বর্তমানে প্রতিবছরের নভেম্বরের শেষ দিনে নতুন বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে আসছে পিএসসি। এক বছরের মধ্যে বিসিএস শেষ করতে জানুয়ারি মাসের প্রথম দিন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরিকল্পনা পিএসসির। তবে এটি করতে গিয়ে যাতে প্রার্থীদের বয়স–সংক্রান্ত জটিলতা না হয়, সে চেষ্টাও করবে বলে জানিয়েছে পিএসসি সূত্র।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন বলেন, বিসিএস শেষ করতে সময় যাতে কম লাগে, তাই সব ধরনের চেষ্টাই অব্যাহত আছে। এক বছরে একটি বিসিএস শেষ করা সেই চেষ্টার একটি অংশ। এ ছাড়া আরও নানা পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে পিএসসি।

বিসিএস শেষ করতে সময় যাতে কম লাগে, তাই সব ধরনের চেষ্টাই অব্যাহত আছে। এক বছরে একটি বিসিএস শেষ করা সেই চেষ্টার একটি অংশ।
সোহরাব হোসাইন, পিএসসির চেয়ারম্যান

বর্তমানে চারটি বিসিএস নিয়ে কাজ করছে পিএসসি। ৪০তম বিসিএসের নন ক্যাডারের তালিকা প্রকাশ, ৪১তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া, ৪৩তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার খাতা দেখা ও ৪৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শেষে এখন খাতা দেখার কাজ করছে পিএসসি। এ ছাড়া আগামী মাসে ৪৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার দিন ধার্য আছে। সব বিসিএসের গতি আনতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানায় পিএসসি সংশ্লিষ্ট সূত্র।

লিখিত পরীক্ষার খাতা দেখতে বিশেষ উদ্যোগ

লিখিত পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের সময় যাতে আগের পরীক্ষকদের করে যাওয়া ভুল আবার আর না হয়, সে জন্য পিএসসি বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে পিএসসির মিলনায়তনে সেমিনারে পরীক্ষকদের খাতা মূল্যায়নের জন্য একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ ছাড়া পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন দেখানোর ব্যবস্থা করা হয় পরীক্ষকদের। সেখানে চাকরিপ্রার্থীদের নাম-পরিচয় গোপন রেখে পরীক্ষা হয়ে যাওয়া বিভিন্ন ধরনের খাতা দেখানো হয়। এ ছাড়া পরীক্ষকেরা যেসব ভুল সবচেয়ে বেশি করেন, সেগুলো চিহ্নিত করে দেখানো হয়। যেসব ভুল করা যাবে না, সেগুলোও দেখানো হয়। যেসব খাতায় পরীক্ষক অনেক ভুল করেছেন, সেসব খাতায় ভুলগুলো চিহ্নিত করা হয়। এগুলো কেন ও কীভাবে ভুল, তা প্রেজেন্টেশনে দেখানো হয়। সেমিনারে প্রতিদিন ১০০ পরীক্ষক অংশ নেন। একই ভুল যদি কোনো পরীক্ষক আবার করেন, তাহলে তাঁদের পরীক্ষক হিসেবে আর পিএসসিতে রাখা হবে না বলেও সেমিনারে বলে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন