ডিআইইউ জব উত্সবে একাধিক চাকরি ও ইন্টার্নশিপের প্রস্তাব

উত্সবে ২০০টি প্রতিষ্ঠানের নিয়োগকর্তারা প্রায় তিন হাজার চাকরি এবং প্রায় এক হাজার ইন্টার্নশিপের প্রস্তাব দিয়েছেন
ছবি: বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া

উচ্চশিক্ষার অন্যতম প্রধান লক্ষ্য দক্ষ ও যোগ্য মানবসম্পদ তৈরির মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখা। এ লক্ষ্য নিয়ে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত হয়েছে ‘ডিআইইউ জব উত্সব ২০২৩’। গতকাল শনিবার দুই দিনব্যাপী এ আয়োজন শেষ হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাভারের বিরুলিয়ায় ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা সম্মেলন কেন্দ্রে দুই দিনব্যাপী এ আয়োজনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি ডিভিশনের সচিব সামসুল আরেফিন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য এস এম মাহাবুবুল হক মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. সবুর খান, একাডেমিক অ্যাফেয়ার্সের ডিন অধ্যাপক মোস্তফা কামাল, ড্যাফোডিল পরিবারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, অ্যাসপিরেশন টু ইনোভেশন প্রকল্পের স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড ইনোভেশন স্পেশালিস্ট আসাদুজ্জামান ও প্রকল্প পরিচালক মামুনুর রশিদ ভূঁইয়া এবং ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের পরিচালক তানভীর ফিত্তিন আবীর।

দুই দিনের এই জব উত্সবে ২০০টি প্রতিষ্ঠানের নিয়োগকর্তারা প্রায় তিন হাজার চাকরি এবং প্রায় এক হাজার ইন্টার্নশিপের প্রস্তাব দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের চূড়ান্ত বর্ষের কিংবা সম্প্রতি গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করা কমপক্ষে ৪ হাজার ২০০ চাকরিপ্রত্যাশী উৎসবে অংশ নিয়েছে। এ ছাড়া এই জব উত্সবে ২০ হাজার ৪০০ শিক্ষার্থীর স্বমূল্যায়ন প্রশিক্ষণ, অন-ক্যাম্পাস জব, ইন্টার্নশিপ, চাকরি পরিবর্তন, কর্মসংস্থানের দক্ষতা পরীক্ষা এবং আ্যালামনাই ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নেটওয়ার্ক তৈরির সুযোগ সৃষ্টি হয়।

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে আয়োজিত ডিআইইউ জব উত্সবে প্রায় ৪ হাজার ২০০ চাকরিপ্রত্যাশী অংশ নিয়েছেন
ছবি: বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া

এবারের আয়োজনের পার্টনার হিসেবে ছিল ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (ডিসিসিআই), বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), এএমসিএইচএএম, বাংলাদেশ সোসাইটি ফর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট (বিএসএইচআরএম), সিটিও ফোরাম বাংলাদেশ, ই-ক্যাব ও বাক্কো। আর এ আয়োজনের নলেজ পার্টনার হলো গো-এডু, এইচআরডিআই এবং অ্যাডমিশন ডট এসি।

সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি ডিভিশনের সচিব সামসুল আরেফিন বলেন, শিক্ষার্থীদের দক্ষতা ও মানবিক গুণাবলি অর্জনের পাশাপাশি ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি আয়ত্তের মাধ্যমে স্মার্ট ও বিশ্ব নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। বিশ্বায়নের এ যুগে প্রযুক্তি ও কারিগরি দক্ষতার পাশাপাশি সফট স্কিলগুলো বর্তমান চাকরি বাজারের প্রধান নিয়ামক বলে তিনি উল্লেখ করেন। একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় লেখাপড়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের এ দক্ষতা অর্জনের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

দুই দিনের এই জব উত্সবে ২০০টি প্রতিষ্ঠানের নিয়োগকর্তারা প্রায় তিন হাজার চাকরি এবং প্রায় এক হাজার ইন্টার্নশিপের প্রস্তাব দিয়েছেন।

তরুণ প্রজন্মকে স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে বর্তমান সরকারের নেওয়া নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দেশের প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব চালু করেছে, সারা দেশে আইটি পার্ক স্থাপন করেছে। উদ্যোক্তা উন্নয়নে শেখ কামাল ইনোভেশন ল্যাব স্থাপন করেছে এবং বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট চালু ও ভেঞ্চার ক্যাপিটাল চালু করেছে।