তিন জেলায় তারিখ পরিবর্তন হলেও নওগাঁয় হচ্ছে না

প্রতীকী ছবি: সাবিনা ইয়াসমিন

৪৩তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদের মৌখিক পরীক্ষা কয়েকটি জেলায় একই দিনে পড়েছে। টাঙ্গাইল, গাইবান্ধা ও নাটোর জেলায় প্রার্থীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিকের পরীক্ষা পেছালেও নওগাঁ জেলায় পরীক্ষা পেছানো হচ্ছে না। এ নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন পরীক্ষার্থীরা।

দেশের আট বিভাগে আজ রোববার থেকে শুরু হয়েছে ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষা। ৩১ জুলাই পর্যন্ত এ পরীক্ষা চলবে। এদিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষায় নির্বাচিত প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা গত ১২ জুন শুরু হয়েছে। পরীক্ষা চলবে আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

যাঁরা বিসিএস লিখিত পরীক্ষা দিচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে কিছু প্রার্থীর প্রাথমিকের মৌখিক পরীক্ষা একই সময়ে পড়েছে। টাঙ্গাইল, গাইবান্ধা, নাটোর ও নওগাঁ জেলার কিছু প্রার্থী এ সমস্যায় পড়েছেন। এর মধ্যে টাঙ্গাইল, গাইবান্ধা ও নাটোর জেলার প্রার্থীরা তাঁদের সমস্যার কথা জানিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করলে প্রাথমিকের মৌখিক পরীক্ষা কারও আগে নেওয়া, আবার কারও পরীক্ষা বিসিএস পরীক্ষার পর নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। কিন্তু নওগাঁ জেলার প্রার্থীরা জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেও কোনো সমাধান পাচ্ছেন না।

টাঙ্গাইল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবুল কালাম আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘কয়েকজন পরীক্ষার্থী আবেদন করেছিলেন, ২৪ জুলাই তাঁদের বিসিএস লিখিত পরীক্ষার দিন প্রাথমিকের মৌখিক পরীক্ষা পড়েছে। পরে জেলা প্রশাসন তাঁদের পরীক্ষা আগে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তাঁদের পরীক্ষা ২১ জুলাই আমরা নিয়েছি।’

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের দ্বিতীয় ধাপের মৌখিক পরীক্ষা আগামী ২৮ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে। রাণীনগরের পরীক্ষার্থীদের মধ্যে কয়েকজনের বিসিএস লিখিত পরীক্ষা পড়েছে একই দিনে।

প্রার্থীদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তাঁরা কোন পরীক্ষা দেবেন। বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা দেবেন নাকি প্রাথমিকের মৌখিক পরীক্ষা দেবেন, তা প্রার্থীরাই পছন্দ করে দেবেন।
খালিদ মেহেদী হাসান, নওগাঁর জেলা প্রশাসক

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পরীক্ষার্থী বলেন, ‘টাঙ্গাইল, গাইবান্ধা ও নাটোর জেলারও কিছু প্রার্থীর পরীক্ষা একই সময়ে ছিল। তাই সেখানকার জেলা প্রশাসক পরীক্ষা পিছিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু আমাদের পরীক্ষা পেছানো হচ্ছে না।’

ওই পরীক্ষার্থী আরও বলেন, ‘আমরা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছেও গিয়েছিলাম। সেখান থেকে বলা হয়েছিল, যেহেতু জেলা প্রশাসক ও জেলা শিক্ষা অফিসার নিয়োগ কমিটিতে আছেন, তাঁরা চাইলে এ তারিখ পরিবর্তন করতে পারেন। এ সমস্যার জন্য কয়েকটি জেলায় পরীক্ষা পেছানোর বিষয়েও অবগত আছে অধিদপ্তর।’

কিন্তু নওগাঁয় কোনোভাবে পরীক্ষার তারিখ না পেছানোয় হতাশা প্রকাশ করে ওই পরীক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা তো কারও কাছে চাকরি চাচ্ছি না। চাকরির পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ চাচ্ছি। সেই সুযোগও মিলছে না।’

এ বিষয়ে জানতে নওগাঁর জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, প্রার্থীদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তাঁরা কোন পরীক্ষা দেবেন। বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা দেবেন নাকি প্রাথমিকের মৌখিক পরীক্ষা দেবেন, তা প্রার্থীরাই পছন্দ করে দেবেন।

টাঙ্গাইল, গাইবান্ধা ও নাটোর জেলায় পরীক্ষার্থীদের সমস্যা বিবেচনায় নিয়ে পরীক্ষা পেছানো হয়েছে। নওগাঁয় পেছানো হবে কি না, এ প্রশ্নে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।