৪৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি জানুয়ারিতে, বয়সে ছাড় পাবেন প্রার্থীরা

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)
ফাইল ছবি

আগামী বছরের শুরুতেই একটি নতুন বিসিএস শুরুর কথা জানিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এটি হবে ৪৬তম সাধারণ বিসিএস। এ বিসিএসে আবেদনের ক্ষেত্রে চাকরিপ্রার্থীদের বয়স বিবেচনার কথাও জানিয়েছে পিএসসি। জানুয়ারিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলেও বয়স হিসাব করা হবে নভেম্বর থেকে। অর্থাৎ যাঁদের বয়স নভেম্বর মাসে শেষ হবে, তাঁরাও ৪৬তম বিসিএসে আবেদন করতে পারবেন। বয়সের ক্ষেত্রে দুই মাস ছাড় পাবেন আবেদনকারীরা।

এ বিষয়ে পিএসসি জানিয়েছে, যেহেতু পিএসসি আগেই ঘোষণা করেছিল, নভেম্বর মাসে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে, তাই নভেম্বর মাস ধরেই তাঁরা ৪৬তম বিসিএসের হিসাব করছে। ফলে জানুয়ারিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও প্রার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে পিএসসি নভেম্বর থেকে বয়স হিসাব করবে। অর্থাৎ নভেম্বরে যাঁদের বয়স ৩০ বছর হবে, জানুয়ারি মাসে গিয়েও তাঁরা আবেদন করতে পারবেন।

পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবছরের নভেম্বরে একটি করে নতুন বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের যে ধারাবাহিকতা, সেটি থেকে সরে এসেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এখন থেকে বছরের প্রথম দিনে নতুন বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া এক বছরেই প্রিলিমিনারি, লিখিত ও ভাইভা শেষ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পিএসসির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, নভেম্বরে যে নতুন বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কথা ছিল, সেটি জানুয়ারিতে করা হবে। জানুয়ারিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও বয়স হিসাব করা হবে নভেম্বর থেকে। ফলে আবেদনকারীরা বয়সের হিসাব নিয়ে ঝামেলায় পড়বেন না। এক বছরে একটি বিসিএস শেষ করার জন্যই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি শুরুর দিন থেকেই প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার তারিখ নির্ধারণ করার চেষ্টা করবে পিএসসি। এটি অনুসরণ করা গেলে এক বছরে বিসিএস শেষ করা যেতে পারে।

পিএসসি সূত্র জানায়, গত ৪৩, ৪৪ ও ৪৫তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি তিনটি আলাদা বছরে প্রকাশিত হয়। এসব বিসিএসের বিশেষ দিক হচ্ছে, এসব বিসিএসের প্রতিটিরই বিজ্ঞপ্তি নভেম্বরে প্রকাশিত হয়। ৪৩ ও ৪৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার খাতা দেখার কার্যক্রম পরিচালনা করছে পিএসসি।