পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে ৯৬৭৩৬ শিক্ষক নিয়োগ: খালি পদ কীভাবে পূরণ, জানাল এনটিআরসিএ

শিক্ষকতাপ্রতীকী ছবি

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল। বিজ্ঞপ্তির পদের সংখ্যার চেয়ে তিন গুণ কম আবেদন পড়েছে। আর আবেদন কম পড়ায় পদ খালি থাকছে বিপুল পরিমাণে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ৯৬ হাজার ৭৩৬ পদের বিপরীতে আবেদন করেছেন শিক্ষক নিবন্ধনে উত্তীর্ণ আগ্রহী প্রার্থীরা।

এখন এই বিপুল ফাঁকা পদগুলো কীভাবে পূরণ করা হবে, জানতে চাইলে এনটিআরসিএর সচিব ওবায়দুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘সামনে থাকা চলমান শিক্ষক নিবন্ধন থেকে আসা যোগ্য প্রার্থীদের মাধ্যমে আমরা এই পদগুলো পূরণের চেষ্টা করব। এ ছাড়া আরও একটি পরিকল্পনা আমাদের আছে। শিগগিরই এ বিষয়ে জানানো হবে।’

আরও পড়ুন

পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে কত আবেদন জমা পড়েছে, জানতে চাইলে এনটিআরসিএর সচিব ওবায়দুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘অনলাইনে ২৩ হাজার ৯৩২ জন আবেদন করেছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই ইনডেক্সধারী আছেন। আমরা বিজ্ঞপ্তিতে ইনডেক্সধারী প্রার্থীদের আবেদন করতে নিষেধ করেছিলাম, তবু করেছেন, সচেতনভাবেই করেছেন। তাঁদের আমরা শনাক্ত করে দ্রুতই যোগ্যদের নিয়োগের সুপারিশ করব।’

আরও পড়ুন

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ৯৬ হাজার ৭৩৬ পদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। এর মধ্যে স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৪৩ হাজার ২৮৬ পদে এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে ৫৩ হাজার ৪৫০ পদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। আবেদন গ্রহণ শেষ হয় ৯ মে। ১০ মে রাত ১২টা পর্যন্ত আবেদনের ফি জমা দিতে পেরেছেন আবেদনকারী প্রার্থীরা।

আরও পড়ুন

এদিকে এনটিআরসিএ ১৫ মে ১৮তম নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ প্রার্থী। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা স্কুল-২ পর্যায়ে ২৯ হাজার ৫১৬ জন, স্কুল পর্যায়ে ২ লাখ ২১ হাজার ৬৫২ জন এবং কলেজ পর্যায়ে ২ লাখ ২৮ হাজার ৮১৩ জন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সার্বিক পাসের গড় হার ৩৫ দশমিক ৮০ শতাংশ। গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হয়। এতে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হন ২৩ হাজার ৯৮৫ জন। এতে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ১ লাখ ৫১ হাজার ৪৩৬ প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। পরে উত্তীর্ণ ১ লাখ ৪ হাজার ৮২৫ প্রার্থী ৫ ও ৬ মে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন।

আরও পড়ুন