রাসায়নিক ব্যবস্থাপনা বাড়াবে কর্মসংস্থান

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) গবেষণা সেল ইএসটেক্স ও বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তব্য দিচ্ছেন বুয়েটের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক ও ইএসটেক্সের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মহিদুস সামাদ খান
ছবি: সংগৃহীত

কোভিডের কারণে বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের বাজারে ধাক্কা এলেও সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠছে পোশাকশিল্প। তবে এখন পোশাকের ক্রেতারাও সচেতনতার বিষয়ে বেশি সোচ্চার। এসব মাথায় রেখে পোশাকশিল্প হতে নির্গত বর্জ্য ও রাসায়নিকের সঠিক ব্যবস্থাপনা করা গেলে ক্রেতারা পোশাকের চাহিদা বাড়িয়ে দেবে, আর এটির ফলে কর্মসংস্থান যেমন বাড়বে, তেমনি জাতীয় অর্থনীতিও শক্তিশালী হবে।

আজ শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) গবেষণা সেল ইএসটেক্স ও বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।

বক্তারা বলেন, কোভিডের পর দেশের তৈরি পিপিইর চাহিদা বিশ্ব বাজারে বেড়ে গেছে। এটি আমাদের জন্য ইতিবাচক। এমনকি পোশাকশিল্পে নতুন নতুন চাহিদা আসছে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে। তবে এই সময় ক্রেতা সংস্থাগুলো দেখছে, যে প্রতিষ্ঠানকে তারা চাহিদা দিচ্ছে, তারা রাসায়নিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কতটা সচেতন। বেশি সচেতন হলে তারা আরও বেশি ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে। এটিকে মাথায় রেখে রাসায়নিক বর্জ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দিলে পোশাকশিল্পের বাজারে বেশি বেশি চাহিদা আসবে। এটির কারণে দেশের কর্মসংস্থানের বাজার আরও বেশি চাঙা হবে, যা জাতীয় অর্থনীতিতে ভালো প্রভাব ফেলবে।

বক্তারা রাসায়নিক ব্যবস্থাপনার সমন্বিত নীতিমালার ওপর জোর দিয়ে বলেন, যদি পানির পুনর্ব্যবহার করা যায় এবং রাসায়নিক ব্যবস্থাপনা ভালোভাবে করা যায়, তাহলে পোশাকের ক্রেতা–বিক্রেতা উভয়েই লাভবান হবেন। এই পানি ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার যন্ত্রগুলো যাতে পোশাকশিল্পে সহজে কেনা যায়, তার জন্য ট্যাক্স–সহনীয় পর্যায়ে রাখতে হবে। তাহলে এগুলোর ব্যবহার বাড়বে। এ ছাড়া সহজভাবে এসব আমদানি করা গেলে তা দেশের জন্য ইতিবাচক পরিবর্তন বয়ে আনবে।

সেমিনারে বক্তব্য দেন বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মাসুদ ইকবাল মো. শামিম, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রোগ্রাম ডিভিশনের যুগ্ম প্রধান নুরুন নাহার, বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ পরামর্শক জাভেদ বিন করিম, বেপজার মহাপরিচালক মোহাম্মদ হাসান আরিফ। সঞ্চালনা ও স্বাগত বক্তব্য দেন বুয়েটের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক ও ইএসটেক্সের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মহিদুস সামাদ খান।