বিসিএসে বাংলা সাহিত্য: প্রশ্নোত্তরে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন

বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় বাংলা সাহিত্যর প্রাচীন যুগ, মধ্যযুগ নিয়ে নানা প্রশ্ন আসে। এসব বিষয়ে আয়ত্বে থাকলে প্রতিযোগিতায় ভালো করতে পারেন চাকরী প্রত্যাশী শিক্ষার্থীরা। মধ্যযুগের ৮টি বিষয় সম্পর্কে ধারণা রাখতে হয়। এগুলো হলো—
১. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন: মধ্যযুগের আদি নিদর্শন
২. বৈষ্ণব কবিতা: রাধা-কৃষ্ণবিষয়ক পদ
৩. মঙ্গলকাব্য: দেবদেবীভিত্তিক কাহিনি
৪. শ্রীচৈতন্য: বৈষ্ণব ধর্মমতের প্রবর্তক
৫. প্রণয় উপাখ্যান: মানবীয় প্রেমকাহিনি
৬. মৈমনসিংহ গীতিকা: ময়মনসিংহের পালাগান
৭. দোভাষী পুঁথি ও কবিগান: মুসলমান ও হিন্দু কবিদের দ্বারা রচিত
৮. নাথসাহিত্য: নাথধর্মের কাহিনি।
আজ আলোচনা করা হচ্ছে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন সম্পর্কে।
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন মধ্যযুগের আদি কাব্য। এটি কোনো একক কবির প্রথম রচনা। বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন চর্যাপদ একটি সংকলনগ্রন্থ। সেখানে ২৪ জন কবির ৫১টি পদ বা কবিতা রয়েছে। অন্যদিকে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন একজন কবিরই রচনা— যাঁর নাম বড়ু চণ্ডীদাস। এই বিবেচনায় বড়ু চণ্ডীদাস মধ্যযুগের আদি কবি। শ্রীকৃষ্ণকীর্তন একইসঙ্গে একটি কাহিনিকাব্যও বটে। এখানে রাধা-কৃষ্ণের প্রণয়কাহিনি রয়েছে।
আবিষ্কার ও প্রকাশ
১৯০৯ সালে বসন্তরঞ্জন রায় পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার কাঁকিল্যা গ্রাম থেকে শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের পুঁথি আবিষ্কার করেন। এটি পাওয়া যায় দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের গোয়ালঘরের মাচার ওপর থেকে। পুঁথিটির সঙ্গে প্রাপ্ত চিরকুট থেকে জানা যায়, আড়াই শ বছর আগে বিষ্ণুপুরের রাজগ্রন্থশালায় এটি রাখা ছিল। এর প্রথম দুটি পাতা, মাঝের কয়েকটি ও শেষ পাতাগুলো পাওয়া যায়নি।
পুঁথিটি পাতলা তুলোট কাগজে হালকা কালিতে লেখা। এতে তিন প্রকার লিপি দেখা যায়—প্রাচীন লিপি, প্রাচীন লিপির হুবহু অনুকরণ লিপি ও পরবর্তীকালের লিপি। বসন্তরঞ্জন রায় নিজে পুঁথিটি সম্পাদনা করেন। এরপর ১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দে (১৩২৩ বঙ্গাব্দে) কলকাতার বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন নাম দিয়ে প্রকাশ করেন। চর্যাপদের পর এটিই প্রাচীনতম বাংলা সাহিত্যের নিদর্শন। কারও কারও মতে, মূল গ্রন্থটির নাম ছিল শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ। পুঁথিটি খণ্ডিত বলে কাব্যরচনার সন-তারিখও জানা যায় না।
নামকরণ
বসন্তরঞ্জন রায় শ্রীকৃষ্ণকীর্তন শিরোনামে গ্রন্থটি প্রকাশ করলেও এই নামকরণ নিয়ে যথেষ্ট মতবিরোধ আছে। প্রাচীন পুঁথিগুলোতে সচরাচর প্রথম বা শেষ পাতায় পুঁথির নাম লেখা থাকে। কিন্তু এই পুঁথির প্রথম ও শেষ পাতা পাওয়া যায়নি। ফলে পুঁথির নাম অজানাই থেকে যায়। এমনকি পরবর্তীকালের কোনো পুঁথিতেও বড়ু চণ্ডীদাস বা তাঁর গ্রন্থের কোনো উল্লেখ পাওয়া যায় না। পুঁথির আবিষ্কারক তাই নামকরণের সময় পুঁথির কাহিনি বিচার করে লোকঐতিহ্য অনুসারে এটি শ্রীকৃষ্ণকীর্তন নামে প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেন। পুঁথির ভেতরে পাওয়া চিরকুটে অবশ্য ‘শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ’ লেখা ছিল।

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন–এর কাহিনি
কাব্যের প্রধান চরিত্র তিনটি—কৃষ্ণ, রাধা এবং বড়ায়ি। ভগবান বিষ্ণুর দশম ও শেষ অবতার রূপে কৃষ্ণের জন্ম হয় পৃথিবীতে। অন্যদিকে দেবী লক্ষ্মী জন্ম নিয়েছেন রাধা রূপে। কিন্তু শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কোনো দেবদেবীর কাহিনি নয়। এই কাহিনির কৃষ্ণ গ্রামের রাখাল বালক। আর রাধা হলো গোয়ালা-বধূ। সুতরাং শ্রীকৃষ্ণকীর্তন একটি গ্রামীণ প্রণয়কাব্য। রাধা ও কৃষ্ণের প্রণয়ে সহযোগীর ভূমিকা পালন করেছে এক বুড়ি—যার নাম বড়ায়ি। কাহিনিতে দেখা যায়, রাধাকে পাওয়ার জন্য কৃষ্ণ নানাভাবে চেষ্টা করে এবং শেষপর্যন্ত সফলও হয়। এককথায় বলা যায়, বিষ্ণুর অবতাররূপে কৃষ্ণের জন্ম, বড়ায়ির সহযোগিতায় রাধার সঙ্গে তার প্রণয় এবং শেষে রাধাকে ত্যাগ করে কৃষ্ণের চিরতরে মথুরায় গমন—এই হলো শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের মূল উপজীব্য।
আখ্যায়িকাটি মোট ১৩ খণ্ডে বিভক্ত: ১. জন্মখণ্ড, ২. তাম্বুলখণ্ড, ৩. দানখণ্ড, ৪. নৌকাখণ্ড, ৫. ভারখণ্ড, ৬. ছত্রখণ্ড, ৭. বৃন্দাবনখণ্ড, ৮. কালীয়দমন খণ্ড, ৯. যমুনাখণ্ড, ১০. হারখণ্ড, ১১. বাণখণ্ড, ১২. বংশীখণ্ড এবং ১৩. রাধাবিরহ। শ্রীকৃষ্ণকীর্তন সংস্কৃত কাব্য গীতগোবিন্দর মতো আখ্যানধর্মী এবং সংলাপের আকারে রচিত। এতে প্রাচীন বাংলা নাটকের আভাস পাওয়া যায়। মনে করা হয়, পূর্বকালে স্থূল রঙ্গরসের যে ধামাইল গান প্রচলিত ছিল, তা থেকে কবি এর আখ্যানভাগ গ্রহণ করেছেন।
বড়ু চণ্ডীদাস
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন–এর রচয়িতা বড়ু চণ্ডীদাস। কাব্যে তাঁর তিনটি ভণিতা পাওয়া যায়—‘বড়ু চণ্ডীদাস’, ‘চণ্ডীদাস’ ও ‘অনন্ত বড়ু’। কবি চৈতন্য-পূর্ববর্তীকালের মানুষ। সম্ভবত পনেরো শতকের প্রথম দিকে তিনি জীবিত ছিলেন। তাঁর বাড়ি বীরভূম জেলার নান্নুরু নামক গ্রামে। অবশ্য কারও কারও মতে, তাঁর জন্ম বাঁকুড়া জেলার ছাতনায়।
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের কিছু অংশ খণ্ডিত বলে বড়ু চণ্ডীদাস সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায়নি। সম্পাদক বসন্তরঞ্জন রায়ের সংগৃহীত তথ্য অনুসারে কবির জন্মকাল ১৪০৩, ১৪১৭ অথবা ১৩৮৬ থেকে ১৪০০ খ্রিষ্টাব্দের কোনো এক সময়। অন্য মতে ১৩২৫ খ্রিষ্টাব্দে। মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্র মতানুসারে, কবির জীবনকাল ১৩৭০ থেকে ১৪৩৩ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে। যোগেশচন্দ্র রায়ের মতে, ছাতনার রাজা হামির উত্তর ১৩৭৩ থেকে ১৪০৪ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করেন। এ সময় ছাতনায় বড়ু চণ্ডীদাস বিদ্যমান ছিলেন।

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন–এর রচনাকাল
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন–এর রচনাকাল নিয়েও মতবিরোধ রয়েছে। পুঁথিতে প্রাপ্ত চিরকুটটি ১০৮৯ বঙ্গাব্দের। এ হিসাবে ১৬৮২ খ্রিষ্টাব্দে পুঁথিটি বনবিষ্ণুপুরের রাজগ্রন্থাগারে সংগৃহীত ছিল। পুঁথিটি অবশ্যই এই চিরকুট অপেক্ষা প্রাচীনতর। রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, এই পুঁথি ১৩৫৮ খ্রিষ্টাব্দের পূর্বে সম্ভবত চতুর্দশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে লিখিত। রাধাগোবিন্দ বসাকের ধারণা, এর লিপিকাল ১৪৫০ থেকে ১৫০০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে। সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় এই মত সমর্থন করেন। যোগেশচন্দ্রের মতে, পুঁথির লিপিকাল ১৫০০ খ্রিষ্টাব্দের পূর্বে নয়। সুকুমার সেনের মতে, শ্রীকৃষ্ণকীর্তন–এর লিপিকাল আঠারো শতকের শেষার্ধ।
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন–এর ভাষা
১. শব্দের শুরুতে ‘অ’ ধ্বনির উচ্চারণ অনেক ক্ষেত্রে ‘আ’ হয়ে গেছে। যেমন আনেক, আতি।
২. শব্দের শেষে উদ্বৃত্তস্বর কখনো কখনো রক্ষিত হয়েছে। যেমন গাআ, জাইও।
৩. প্রাকৃতের প্রভাবে ব্যঞ্জনের দ্বিত্ব রূপ সর্বনামে দেখা যায়। যেমন আহ্মার, তোহ্মা।
৪. আনুনাসিক উচ্চারণ ও বানানে চন্দ্রবিন্দুর ব্যবহার খুব বেশি হয়েছে। যেমন কাহ্নাঞিঁ, দেবেঁ, দুধেঁ, করিআঁ।
৫. বিপ্রকর্ষ, স্বরসংগতি, যুক্তবর্ণের লোপ ইত্যাদি ধ্বনি-পরিবর্তন দেখা যায়। যেমন পরাণ (প্রাণ), সেনেহ (স্নেহ), বুধি (বুদ্ধি) ইত্যাদি।
৬. ভাষায় ঈ-কারান্ত স্ত্রীলিঙ্গের রূপ দেখা যায়। যেমন কমলবদনী, কোঁঅলী পাতলী বালী।
৭. বহুবচনে রা, রে, সবে, সব, জন, সঅল ইত্যাদি অনুসর্গের ব্যবহার হয়েছে।
৮. নামধাতুর কিছু ব্যবহার রয়েছে। যেমন চুম্বিলা, মুকুলিল, চিন্তিল ইত্যাদি।
উদ্ধৃতি
বংশীখণ্ডে রাধার মুখ দিয়ে উচ্চারিত হয়েছে—
কে না বাঁশী বাএ বড়ায়ি কালিনী নই কূলে।
কে না বাঁশী বাএ বড়ায়ি এ গোঠ গোকুলে \
আকুল শরীর মোর বেয়াকুল মন।
বাঁশীর শবদেঁ মো আউলাইলোঁ রান্ধন \
এখানে কৃষ্ণের প্রতি রাধার ব্যাকুলতা প্রকাশ পেয়েছে। বড়ায়িকে ডেকে রাধা জানতে চাইছে, কালিনী নদীর কূলে কে বাঁশি বাজাচ্ছে। রাধা আরও বলছে, এই বাঁশির শব্দে তার মনপ্রাণ আকুল হয়েছে।

অনুশীলন
১. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের রচিয়তা—
(ক) চণ্ডীদাস (খ) বড়ু চণ্ডীদাস (গ) দ্বিজ চণ্ডীদাস (ঘ) দীন চণ্ডীদাস
২. কার মতে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন–এর লিপিকাল অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগ?
(ক) মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ (খ) সুকুমার সেন (গ) বসন্তরঞ্জন রায় (ঘ) হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
৩. খাঁটি বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ কোনটি?
(ক) চর্যাপদ (খ) শ্রীকৃষ্ণকীর্তন (গ) ইউসুফ-জুলেখা (ঘ) পদ্মাবতী
৪. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন–এর ভাষা কোন সময়কার বাংলা ভাষার বৈশিষ্ট্য বহন করছে?
(ক) প্রাচীন যুগের বাংলা (খ) আদি মধ্যযুগের বাংলা (গ) অন্তা মধ্যযুগের বাংলা (ঘ) আধুনিক যুগের বাংলা
৫. আধুনিককালের সবেচেয়ে বড় লিপিবিশারদ—
(ক) মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ (খ) সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
(গ) রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় (ঘ) হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
৬. মধ্যযুগের আদি কবি—
(ক) কাহ্নপা (খ) বিদ্যাপতি (গ) বড়ু চণ্ডীদাস (ঘ) মালাধর বসু
৭. বড়ু চণ্ডীদাসের জন্মস্থান কোনটি?
(ক) বীরভূম জেলার নান্নুরু গ্রাম (খ) বীরভূম জেলার কাঁকিল্যা গ্রাম
(গ) বাঁকুড়া জেলার নান্নুরু গ্রাম (ঘ) বাঁকুড়া জেলার কাঁকিল্যা গ্রাম
৮. কত বঙ্গাব্দে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন আবিষ্কৃত হয়?
(ক) ১৩০৭ বঙ্গাব্দে (খ) ১৩০৯ বঙ্গাব্দে (গ) ১৩১৬ বঙ্গাব্দে (ঘ) ১৩২৩ বঙ্গাব্দে
৯.‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ নামটি দিয়েছেন—
(ক) মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ (খ) সুকুমার সেন (গ) বসন্তরঞ্জন রায় (ঘ) বড়ু চণ্ডীদাস
১০. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্র মতে, শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের রচনাকাল—
(ক) ১৩০০ খ্রিষ্টাব্দ (খ) ১৩৫০ খ্রিষ্টাব্দ (গ) ১৪০০ খ্রিষ্টাব্দ (ঘ) ১৪৫০ খ্রিষ্টাব্দ
১১. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন–এর ভেতরে পাওয়া চিরকুটে কোন নামটি লেখা ছিল?
(ক) শ্রীকৃষ্ণলীলা (খ) শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ (গ) শ্রীকৃষ্ণভগবত (ঘ) শ্রীগোকুল
১২. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের ১৩টি খণ্ডের মধ্যে একমাত্র কোন খণ্ডের শেষে ‘খণ্ড’ শব্দ যোগ করা হয়নি?
(ক) প্রথম (খ) সপ্তম (গ) একাদশ (ঘ) ত্রয়োদশ
১৩.‘কে না বাঁশী বাএ বড়ায়ি কালিনী নই কূলে।’ —কোন খণ্ডের উদ্ধৃত অংশ?
(ক) তাম্বুলখণ্ড (খ) দানখণ্ড (গ) বংশীখণ্ড (ঘ) রাধাবিরহ
১৪. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন–এর দ্বিতীয় খণ্ড কোনটি?
(ক) জন্মখণ্ড (খ) তাম্বুলখণ্ড (গ) বংশীখণ্ড (ঘ) রাধাবিরহ

১৫. কৃষ্ণ ও রাধার স্বর্গীয় নাম যথাক্রমে—
(ক) বিষ্ণু ও লক্ষ্মী (খ) হর ও গৌরী (গ) শিব ও দুর্গা (ঘ) ব্রহ্মা ও মেনকা

১৬. বাংলা সাহিত্যে রাধা-কৃষ্ণবিষয়ক প্রথম কাহিনিকাব্য কোনটি?
(ক) গীতগোবিন্দ (খ) শ্রীকৃষ্ণকীর্তন (গ) শূন্যপুরাণ (ঘ) সেক শুভোদয়া

১৭. ‘আকুল শরীর মোর বেআকুল মন।/ বাঁশীর শবদেঁ মো আউলাইলোঁ রান্ধন \’—কোন কবির রচনা?
(ক) বিদ্যাপতি (খ) বড়ু চণ্ডীদাস (গ) জ্ঞানদাস (ঘ) পদাবলীর চণ্ডীদাস

১৮. নিচের কোনটি শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের চরিত্র নয়?
(ক) রাধা (খ) কৃষ্ণ (গ) বড়ায়ি (ঘ) ঈশ্বরী

১৯. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য কে আবিষ্কার করেন?
(ক) বসন্তরঞ্জন রায় (খ) রাজা রাজেন্দ্রলাল মিত্র (গ) হরপ্রসাদ শাস্ত্রী (ঘ) বিদ্যাপতি
২০. বাংলা ভাষায় রচিত দ্বিতীয় গ্রন্থ শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য কত খণ্ডে বিভক্ত?
(ক) নয় (খ) এগারো (গ) তেরো (ঘ) পনেরো

২১.শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য সম্পাদনা করেন—
(ক) মুহম্মদ শহীদুল্লাহ (খ) সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
(গ) হরপ্রসাদ শাস্ত্রী (ঘ) বসন্তরঞ্জন রায়

২২.মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে প্রাচীনতম চণ্ডীদাস কে?
(ক) দীন চণ্ডীদাস (খ) দ্বিজ চণ্ডীদাস (গ) বড়ু চণ্ডীদাস (ঘ) চণ্ডীদাস

২৩.‘বাসলী (বাশুলী) চরণে চণ্ডীদাস এই গান গাইলেন’—এখানে ‘বাসলী’ কে?
(ক) রাধা (খ) কৃষ্ণ (গ) বিশালাক্ষী দেবী (ঘ) চণ্ডী উপাস্য দেবতা

২৪. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন গ্রন্থটি আবিষ্কৃত হয়—
(ক) নেপালের রয়েল লাইব্রেরি থেকে (খ) পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলা থেকে
(গ) বনবিষ্ণুপুরের রাজগ্রন্থাগার থেকে (ঘ) বার্মার এক গৃহস্থবাড়ির গোয়ালঘর থেকে

২৫.শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যটি প্রকাশিত হয়—
(ক) বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে (খ) শ্রীরামপুর মিশন থেকে
(গ) রামকৃষ্ণ মিশন থেকে (ঘ) কলকাতার বাংলা আকাদেমি থেকে
উত্তর
১. খ ২. খ ৩. খ ৪. খ ৫. গ ৬. গ ৭. ক ৮. গ ৯. গ ১০. গ ১১. খ ১২. ঘ ১৩. গ
১৪. খ ১৫. ক ১৬. খ ১৭. খ ১৮. ঘ ১৯. ক ২০. গ ২১. ঘ ২২. গ ২৩. গ ২৪. খ ২৫. ক

  • লেখক: তারিক মনজুর, শিক্ষক, বাংলা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

  • চাকরির বিভিন্ন পরামর্শের জন্য মাসিক ম্যাগাজিন ‘চলতি ঘটনা’ পড়ুন