বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে এমওডিসি পদে চাকরির সুযোগ

বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে এমওডিসি (এয়ার) পদে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। এমওডিসি (জিডি) ও এমওডিসি (ক্লার্ক) ট্রেডে লোক নেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। ২৪ নভেম্বর আবেদন শুরু হয়ে চলবে আগামী ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। শুধু পুরুষ প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ ২.০০ থাকতে হবে। ২০২৩ সালের ২ এপ্রিল তারিখে বয়স ১৬ থেকে ২১ বছরের মধ্যে হতে হবে। উচ্চতা কমপক্ষে ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি। বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ৩০ ইঞ্চি, প্রসারিত অবস্থায় ৩২ ইঞ্চি। চোখের ক্ষমতা ৬/৬ এবং স্বাভাবিক দৃষ্টিসম্পন্ন হতে হবে। বর্ণান্ধ গ্রহণযোগ্য নয়। ওজন হতে হবে বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী।

আগ্রহী প্রার্থীদের এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে ‘অ্যাপ্লাই নাউ’ অপশনে ক্লিক করে পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী নিবন্ধন করে আবেদন ফি বাবদ ১৫০ টাকা জমা দিতে হবে। আবেদন ফি জমা দিলে নিবন্ধন করা মুঠোফোনে ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দেওয়া হবে। এই ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে।

সব শিক্ষাগত যোগ্যতার সাময়িক সনদ, প্রশংসাপত্র, নম্বরপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি। নাগরিকত্ব, চারিত্রিক সনদ, বৈবাহিক অবস্থা ও স্থায়ী ঠিকানার সনদ জমা দিতে হবে। সদ্য তোলা পাসপোর্ট আকারের ১২ কপি সত্যায়িত ছবি (অবশ্যই ল্যাব প্রিন্ট, কালারসহ হতে হবে)। বর্তমান অথবা সর্বশেষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্তৃক প্রদত্ত চারিত্রিক সনদ। স্থায়ী ঠিকানার প্রমাণস্বরূপ জন্মনিবন্ধন বা জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি।

আবেদনকারী প্রার্থীদের মধ্য থেকে লিখিত পরীক্ষা (এসএসসি সমমানের) নেওয়া হবে। এরপর ডাক্তারি ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থীদের চূড়ান্তভাবে বাছাই করা হবে। পরীক্ষাকেন্দ্রে সব ধরেনর ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও ব্যাগ বহন করা নিষেধ।

প্রশিক্ষণকালীন মাসিক বেতন ৮ হাজার ৮০০ টাকা। প্রশিক্ষণ শেষে পদবি অনুসারে আকর্ষণীয় বেতন ও ভাতা পাবেন। বিমানবাহিনীর তত্ত্বাবধানে উচ্চতর শিক্ষা অর্জনের সুযোগ। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণেরও সুযোগ রয়েছে। সন্তানদের যোগ্যতার ভিত্তিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটি, বিইউপি, আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ, এমআইএসটি, ক্যাডেট কলেজ ও বিমানবাহিনী পরিচালিত বিএএফ শাহীন স্কুল-কলেজে অধ্যয়নের সুযোগ রয়েছে। বিমানবাহিনীর এক ঘাঁটি থেকে অন্য ঘাঁটিতে সপরিবারে বিমান বা হেলিকপ্টার বা বাসযোগে যাতায়াতের সুযোগ, বাসস্থান ও রেশনপ্রাপ্তির সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া সামরিক হাসপাতালে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসার সুযোগ রয়েছে।