এক বছর পর পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের লিখিতের ফল প্রকাশ
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (পিটিআই)-সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের লিখিত পরীক্ষার ফল এক বছর পর প্রকাশ করা হয়েছে।
আজ রোববার বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (বিপিএসসি) ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৭৫৩ জন।
উত্তীর্ণ প্রার্থীদের রোল নম্বর দেখা যাবে এ লিংকে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষার তারিখ ও সময়সূচি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও কমিশনের ওয়েবসাইটে যথাসময়ে প্রকাশ করা হবে।
২০১৯ সালের ১৭ এপ্রিল পিটিআই–সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের শূন্য পদে ১০ম গ্রেডে শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। এরপর ২০১৯ সালের ২০ জুলাই এমসিকিউ পদ্ধতিতে বাছাই পরীক্ষা নেওয়া হয় এবং ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর বাছাই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। বাছাই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয় গত বছরের ১৭ জানুয়ারি।
কয়েক বছর ধরে নিয়োগপ্রক্রিয়া আটকে থাকায় গত ১৩ জানুয়ারি প্রথম আলোতে ‘চার বছরেও শেষ হয়নি পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের নিয়োগপ্রক্রিয়া’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। রিট মামলার নিষ্পত্তি না হওয়ায় লিখিত পরীক্ষার ফল এত দিন আটকে ছিল বলে পিএসসি সূত্রে জানা যায়।
বর্তমানে সারা দেশে ৬৭টি প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট রয়েছে। ঢাকা ও নড়াইল জেলা বাদে প্রতিটি পিটিআইয়ের সঙ্গে একটি করে পরীক্ষণ বিদ্যালয় আছে। সেগুলো পিটিআই–সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয় নামে পরিচিত। এসব বিদ্যালয়ে ১০ম গ্রেডে ৫টি করে শিক্ষকের পদ রয়েছে। ২০০৮ সালে পিটিআই–সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের ২১৪ জন শিক্ষককে পিটিআই ইন্সট্রাক্টর পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়। এরপর অনেকে শিক্ষক পদ থেকে অবসরে গেছেন। ফলে ১০ম গ্রেডে শিক্ষকের ৩২৯টি পদ শূন্য হয়ে যায়। এই ৩২৯টি পদের জন্য পিএসসি ২০১৯ সালে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।