ইন্টারভিউর দুদিন পর চিঠি পেলেন চাকরিপ্রত্যাশী অর্ক

ভাইভার চিঠি হাতে অর্ক রঞ্জন দাস
ছবি: টুইটার

ইন্টারভিউর তারিখ ছিল গত মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর। সেই ইন্টারভিউর চিঠি এল ১২ নভেম্বর। লিখিত পরীক্ষায় পাস করেও ভাইভা দিতে পারলেন না চাকরিপ্রত্যাশী যুবক। এ ঘটনা ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রায়গঞ্জের মোহনবাটির। চাকরিপ্রত্যাশী ওই যুবকের নাম অর্ক রঞ্জন দাস। নিজের ফেসবুক পেজে এ ঘটনা উল্লেখ করেছেন তিনি। তাঁর এ ঘটনা নিয়ে ভারতের গণমাধ্যমেও প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে।

অর্ক রঞ্জন জানতে পারেন, লিখিত পরীক্ষায় পাস করেছেন। ইন্টারভিউতে যাওয়ার জন্য তাঁকে ডাকা হয়েছে।

বছরখানেক আগে চাকরির জন্য লিখিত পরীক্ষা দিয়েছিলেন অর্ক রঞ্জন দাস। বছর ঘুরে চিঠি পেয়ে জানতে পারলেন, লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। ভাইভার ডাক এসেছে। তবে ইন্টারভিউ দিতে যেতে পারেননি অর্ক রঞ্জন দাস। কারণ, ইন্টারভিউয়ের দিন পেরিয়ে যাওয়ার দুদিন পরে গত বৃহস্পতিবার তাঁর হাতে এসে পৌঁছেছে সেই চিঠি। এ ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ডাক ব্যবস্থার চিত্রই ফুটে উঠেছে।
মৌখিক পরীক্ষায় বসার সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় রায়গঞ্জের প্রধান ডাকঘরের হেড পোস্টমাস্টার রতন কৃষ্ণ রায় জানালেন, কর্মীর সংখ্যা না বাড়লে এমন ঘটনা ভবিষ্যতেও ঘটতে পারে।

অর্ক রঞ্জন জানিয়েছেন, গত বছরের ১ ডিসেম্বর ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট কো-অপারেটিভ সার্ভিস কমিশনের লিখিত পরীক্ষা দেন তিনি। এরপর প্রায় বছর গড়িয়ে গত বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) তাঁদের বাড়িতে একটি চিঠি এসে পৌঁছায়। চিঠি পড়ে অর্ক রঞ্জন জানতে পারেন, লিখিত পরীক্ষায় পাস করেছেন। ইন্টারভিউতে যাওয়ার জন্য তাঁকে ডাকা হয়েছে। তবে ইন্টারভিউ ছিল দুদিন আগে, ১০ নভেম্বর।

অর্ক রঞ্জন দাসের লিখিত পরীক্ষায় পাস ও ভাইভায় উপস্থিত হওয়ার চিঠি
ছবি: ফেসবুক

ডাকঘরের গাফিলতিতে চাকরির সম্ভাব্য সুযোগ হারিয়ে হতাশ অর্ক রঞ্জন দাস। তবে কার গাফিলতিতে ভাইভা পরীক্ষার দুদিন পরে চিঠি এল এবং এ ঘটনায় কাকে দায় দেবেন, তা তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না। তবে ইতিমধ্যেই এ নিয়ে রায়গঞ্জের প্রধান ডাকঘরের হেড পোস্টমাস্টার রতন কৃষ্ণ রায়ের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন অর্ক রঞ্জন।

ডাকঘরের গাফিলতি নয়, কর্মী সংখ্যা কম থাকাতেই এমনটা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রতন কৃষ্ণ রায়। তিনি বলেন, রায়গঞ্জ শহরে ১৩টি বিটের মধ্যে ৫টিতে কর্মী রয়েছেন। বাকি ৮ টিতে কোনো কর্মী নেই। এই কর্মীরাই ১৩টি বিটের কাজ করেন। তাই নির্ধারিত সময়ের অনেক পরই বহু চিঠি বিলি করা হচ্ছে।

বেহাল ডাক ব্যবস্থার কথা স্বীকার করলেও তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই শুরু করার কথা জানিয়েছেন অর্ক রঞ্জন। তিনি জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে আদালতে যেতে চান।