ডিজনিল্যান্ড থেকে চাকরি হারাচ্ছেন ২৮ হাজার কর্মী

ডিজনি থিম পার্ক কর্তৃপক্ষ ২৮ হাজার কর্মীকে ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে
ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রে ডিজনি থিম পার্ক কর্তৃপক্ষ গত মঙ্গলবার ২৮ হাজার কর্মীকে ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। করোনা মহামারির ফলে পার্ক ও রিসোর্ট ব্যবসায় মন্দার কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিজনি। যাঁরা চাকরি হারাচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে ৬৭ শতাংশই খণ্ডকালীন কর্মী বলে জানিয়েছে ডিজনি।

সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, করোনা মহামারিতে লকডাউনের কারণে ডিজনি নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচেয়ে বড় আঘাতটি লেগেছে তাদের থিম পার্ক ও রিসোর্ট ব্যবসায়ে। ডিজনির পার্ক ইউনিট ২০১৯ অর্থবছরে আয় করেছিল ২ হাজার ৬০০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি। চলতি বছরের দ্বিতীয় কোয়ার্টারে সেটির ধস হয়েছে। এ সময় পরিচালন মুনাফা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে ৫৮ শতাংশ। এই বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সংকটের সময় মাত্র কয়েক সপ্তাহে শত কোটি ডলারের আয় হারিয়েছে ডিজনি।

করোনার কারণে পার্ক ও রিসোর্ট ব্যবসায় মন্দার কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিজনি
ছবি: সংগৃহীত

ডিজনি পার্ক অ্যান্ড রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ বলেছে, তাদের যুক্তরাষ্ট্রে এক লাখ কর্মী আছেন।

কর্মী ছাঁটাইয়ের বিষয়টি অপরিহার্য বলে যুক্তি দেখিয়েছেন ডিজনি পার্কের চেয়ারম্যান জস ডি’আমারো। তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারিকালে বিশ্বব্যাপী ডিজনির থিম পার্কগুলো বন্ধ রয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্যবসা। আর ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া ছিল খুবই কঠিন। আমরা নানা উপায় বের করার চেষ্টা করছি, কীভাবে তাঁদের ফেরানো যায়, তা নিয়েও ভাবছি। মহামারির কারণে এ বছরের প্রথম তিন মাসে কোম্পানির মুনাফা হ্রাস পায় ৯১ শতাংশ।

ডিজনিল্যান্ড আবার খুলে দেওয়ার জন্য বিধিনিষেধ প্রত্যাহারে ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্য অনীহা দেখাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন জস ডি’আমারো। তবে ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নরের অফিস জস ডি’আমারোর অভিযোগের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি।

ক্যালিফোর্নিয়ায় ডিজনিল্যান্ড ও ক্যালিফোর্নিয়া অ্যাডভেঞ্চার গত মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে। ফ্লোরিয়ায় অবস্থিত ডিজনি ওয়ার্ল্ডও মার্চে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তবে তারা ১৭ জুলাই থেকে পার্কের কার্যক্রম আবার শুরু করেছে।

কর্মীদের উদ্দেশ্যে এক বিবৃতিতে জস ডি’আমারো বলে, ‘আপনারা হয়তো ব্যাপারটি আন্দাজ করতে পারছেন। আমাদের ব্যয় কমিয়ে ফেলতে হচ্ছে। আমাদের বড় বড় প্রকল্পগুলো বন্ধ করে দিতে হয়েছে। আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী কাজগুলো করে যেতে চাই। আর বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি।’