তরুণদের দক্ষতা বাড়াতে চালু হলো স্কিলএইড

স্কিলএইড বাংলাদেশের কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান।

তরুণদের দক্ষতা বাড়াতে চালু হলো স্কিলএইড নামে একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম। এতে তরুণেরা বিনা মূল্যে নানা কোর্স করতে পারবেন।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় অনলাইনে স্কিলএইড বাংলাদেশের কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান। সঙ্গে ছিলেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষকেরা।
স্কিলএইড বাংলাদেশ তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধি নিয়ে কাজ করবে। প্ল্যাটফর্মটি থেকে ফ্রি অনলাইন সার্টিফিকেট কোর্স, ফ্রি কাউন্সেলিং, বিশেষজ্ঞদের ফ্রি পরামর্শসহ আরও নানা কর্মমুখী দক্ষতা বৃদ্ধির সেবা গ্রহণ করা যাবে।
উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী স্কিলএইড বাংলাদেশের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান এবং স্কিলএইড বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাজ করার বিষয়টির প্রশংসা করেন। তিনি চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবিলায় ও ভিশন-২০৪১ লক্ষ্যপূরণে তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন। তা ছাড়া বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য হ্রাস প্রকল্পের মাধ্যমে আগামী তিন বছরে সাত লাখের অধিক তরুণের কর্মসংস্থান তৈরির আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি উদ্যোক্তা তৈরির প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন।

এ ছাড়া তরুণদের নিয়ে তৈরি করা সরকারি ই-কমার্স সাইটের সাফল্য ও সরকারিভাবে একটি ভার্চ্যুয়াল ট্রেনিং সেন্টার শুরুর আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। শিগগিরই যুব ব্র্যান্ডিং ও যুব কিচেন নামে দুটি প্ল্যাটফর্ম তৈরির কথাও উল্লেখ করেন। এর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধন করা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে হয়ে যাওয়া আন্তর্জাতিক আয়োজন ‘ঢাকা ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ২০২০’–এর সাফল্যের কথাও তুলে ধরেন প্রতিমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রাফিউদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশে গতানুগতিক শিক্ষাব্যবস্থার বাইরে স্কিল–নির্ভর ও টেকনিক্যাল শিক্ষার কথা বলেন। তিনি চাকরির বাইরেও উদ্যোক্তা হওয়ার মানসিকতা তৈরি, মাল্টিস্কিল চর্চা ও সফট স্কিল চর্চার গুরুত্ব উপস্থাপন করেন। বাংলাদেশের উন্নতিতে তরুণদের দক্ষতা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি দক্ষতা বৃদ্ধির কার্যক্রমে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার গুরুত্বের কথা বলেন এবং তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে স্কিলএইড বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে, তা প্রত্যাশা করেন।


কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের স্কুল অব বিজনেসের বিভাগীয় প্রধান এস এম আরিফুজ্জামান ২০৪১ সালের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দেশের প্রত্যেক তরুণকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করেন। বর্তমান শিক্ষিত জনশক্তির পক্ষে দক্ষতা না বাড়ালে কর্মক্ষেত্রে এগিয়ে যাওয়া অসম্ভব মনে করেন তিনি। দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বেসরকারি ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি আনা সম্ভব হবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন। ২০৪১ সালে বাংলাদেশের সাফল্যগাথায় স্কিলএইড বাংলাদেশের সুদূরপ্রসারী কার্যক্রম উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারবে বলে তিনি আশা করেন।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জেনারেল এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সানজিদা চৌধুরী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মানসুরা বেগম, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির কোয়ান্টিটেটিভ সায়েন্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রেহানা পারভিন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবদুল বাতেন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন স্কিলএইড বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা মো. মাসুদ।