কানাডায় বাংলাদেশিদের পাশে কানাডিয়ান সেন্টার ও বায়েস

করোনাভাইরাসে থমকে গেছে কানাডার জীবনযাত্রা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যবসা-বাণিজ্য, অফিস-আদালত অনেক কিছুই এখন বন্ধ। আর এই দুর্যোগে কানাডায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে কানাডিয়ান সেন্টার ও বেঙ্গলি ইনফরমেশন অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট সার্ভিসেস (বায়েস)।

‘করোনাভাইরাস: সমস্যা ও করণীয়’ শীর্ষক এক কর্মশালার আয়োজন করে বায়েস ও কানাডিয়ান সেন্টার। গত ৫ এপ্রিল অনলাইন আ্যাপ জুমের মাধ্যমে আয়োজিত কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন ৫৬ জন বাংলাদেশি কানাডিয়ান।

কর্মশালায় কানাডা সরকার প্রদত্ত ইমার্জেন্সি রেসপন্স বেনিফিট কীভাবে পাওয়া যাবে, কারা পাওয়ার যোগ্য সেসব তথ্য প্রদান করা হয়। একই সঙ্গে করোনাভাইরাসে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করা হয়। কর্মশালা সঞ্চালনা করেন কানাডিয়ান সেন্টারের প্রেসিডেন্ট ইমাম উদ্দিন। সহায়তা করেছেন বায়েসের প্রেসিডেন্ট আলমগীর কবির, পরিচালক গোলাম মোস্তফা, কানাডিয়ান সেন্টারের পরিচালক তৌহিদা চৌধুরী ও হেলথ কো-অর্ডিনেটর মুহিতুল ইসলাম।

কানাডা সরকার প্রদত্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন প্রণোদনা, এমপ্লয়মেন্ট ইনস্যুরেন্স, ফুড ব্যাংক, চাকরি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য সম্পর্কে প্রবাসী বাংলাদেশিদের একটি টেলিফোন হটলাইনের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক (৬৪৭.৪৫.৮৪৪৮) সেবা প্রদান অব্যাহত রেখেছে কানাডিয়ান সেন্টার ও বায়েস। ইতিমধ্যে দুই শতাধিক ব্যক্তিকে এ সহায়তা প্রদান করা হয়। এ ছাড়া সংগঠন দুটির ফেসবুক গ্রুফের কানাডিয়ান সেন্টার ফর ইনফরমেশন অ্যান্ড নলেজ ও শেয়ারিং ইনফরমেশন, ইমপ্রুভিং লাইভসের মাধ্যমে নিয়মিত প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করা হয়।

বায়েসের পরিচালক গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে কানাডায় বসবাসরত বাংলাদেশিদের সময়মতো প্রয়োজনীয় তথ্যটি জানানো এবং আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।’

কানাডিয়ান সেন্টারের প্রেসিডেন্ট ইমাম উদ্দিন বলেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারির ফলে অনেক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে সর্বত্র। একই সঙ্গে টরন্টোতে বাঙালি কমিউনিটির মধ্যেও। এখন মনে হচ্ছে আর কোনো জিনিসের নিয়ন্ত্রণে নেই। দুঃখ, স্ট্রেস, বিভ্রান্তি, ভীত বা উদ্বেগ বোধ করা স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অসুস্থ হওয়ার ভয়, বাচ্চাদের পড়াশোনা, বিচ্ছিন্নতা বা শারীরিক দূরত্বের কারণে প্রিয়জনদের থেকে দূরে থাকার ভয় তো আছে। আছে অসহায়ত্ব, একঘেয়েমি, একাকিত্ব ও হতাশা। মানসিক সমস্যাও বাড়ছে। আমরা অন্যান্য কমিউনিটি অরগানাইজেশনগুলোর সঙ্গে এ দুর্যোগ মোকাবিলায় সম্মিলিতভাবে কাজ করছি। আমরা আশা করছি এটি অচিরেই কেটে যাবে এবং কানাডায় বাংলাদেশি কমিউনিটি উত্তরোত্তর তার লক্ষ্য অর্জনে সফল হবে।’

উল্লেখ্য, বায়েস ও কানাডিয়ান সেন্টার সরকার নিবন্ধিত বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবামূলক প্রতিষ্ঠান। কানাডায় বসবাসরত বাঙালিদের জীবনমান উন্নয়নে করছে সংগঠন দুটি। বিজ্ঞপ্তি