১২ বছর পর বিরল সীমান্ত দিয়ে রেলে পণ্য

দীর্ঘ এক যুগ অপেক্ষার পর দিনাজপুরের বিরল স্থলবন্দরে রেলপথ দিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু হয়েছে। গত বুধবার বিকেলে ভারতের রাধিকাপুর থেকে পাথরবোঝাই একটি মালবাহী ট্রেন বাংলাদেশে এসেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পণ্য পরিবহনে সময় ও ভাড়া উভয় দিক থেকে বাণিজ্যিক সুবিধার জন্য ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশের সরকার রাধিকাপুর ও বিরল সীমান্তের রেলপথ মিটারগেজ থেকে ব্রডগেজে উন্নীত করার চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। নির্ধারিত সময়ে ভারত নিজেদের রাধিকাপুর সীমান্তের রেলপথ ব্রডগেজে উন্নীত করার কাজ শেষ করে। তবে বাংলাদেশ সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ফলে ২০০৫ সালের মে মাস থেকে বিরল স্থলবন্দর দিয়ে রেলপথে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। গত বছরের অক্টোবর মাসে বিরল স্থলবন্দর থেকে পার্বতীপুর পর্যন্ত ব্রডগেজে রেললাইন নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়।
বিরল রেলস্টেশনের মাস্টার মাসুদ পারভেজ বলেন, ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের বাকুডি এলাকা থেকে ২ হাজার ৪৭২ মেট্রিক টন পাথর নিয়ে মালবাহী ট্রেনটি এসেছে। গত বুধবার সকালে রাধিকাপুর স্টেশনে আসে ট্রেন। সেখান থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি ইঞ্জিন মালবাহী ট্রেনটিকে বিরল রেলস্টেশনে নিয়ে আসে। পাথরবোঝাই ৪২টি ওয়াগনের মালামাল থেকে ভাড়া বাবদ রেলওয়ে ১৫ লক্ষাধিক টাকা আয় করেছে। তিনি আরও বলেন, দূরত্ব অনুযায়ী ভাড়া কম-বেশি হবে। বিরল স্থলবন্দর দিয়ে রেলপথে পণ্য পরিবহনে বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রতিদিন ৬ থেকে ১৮ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করবে বলে তিনি জানান।
জানতে চাইলে দিনাজপুর সদর সার্কেলের (কাস্টমস) রাজস্ব কর্মকর্তা শাহিন আলম বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের জাহানারা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান এসব পাথর আমদানি করেছে। এতে সরকার ১১ লাখ ১ হাজার ২৭৫ টাকা রাজস্ব পেয়েছে।
রেলওয়ের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর লুৎফর রহমান বলেন, পাথরবোঝাই মালবাহী ট্রেনটি নিয়ে তাঁরা বিরল স্থলবন্দরের কার্যক্রম সম্পন্ন করে সিরাজগঞ্জে যাবেন।
দিনাজপুর চেম্বারের সভাপতি রেজা হুমায়ুন ফারুক চৌধুরী গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ১২ বছর পর সমস্যার সমাধান হলো। এখন দুই দেশের ব্যবসায়ীরা কম খরচে রেলপথে পণ্য আমদানি-রপ্তানি করতে পারবেন।