৫৪ শিল্পোদ্যোক্তা পেলেন সিআইপি পত্র

শিল্প মন্ত্রণালয়ের দেওয়া বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা সিআইপি (শিল্প)-২০১৩ কার্ড (পরিচয়পত্র) পেলেন ৫৪ জন শিল্পোদ্যোক্তা।
বেসরকারি খাতে শিল্প স্থাপন, পণ্য উৎপাদন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জাতীয় আয় বাড়ানো দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় সিআইপি মর্যাদা পেলেন এসব ব্যক্তি।
এ বছর পদাধিকারবলে ১১ জন, বৃহৎ শিল্প বিভাগে ২১ জন, মাঝারি শিল্পে ১০ জন, ক্ষুদ্র শিল্পে পাঁচজন, মাইক্রো শিল্পে একজন, কুটিরশিল্পে একজন এবং সেবাশিল্পে অবদানের জন্য পাঁচজনকে সিআইপি কার্ড দেওয়া হয়। কার্ড পাওয়ার দিন থেকে আগামী এক বছর সিআইপি হিসেবে বিশেষ সুবিধা পাবেন তাঁরা।
শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু গতকাল মঙ্গলবার এসব ব্যক্তির হাতে সিআইপি কার্ড তুলে দেন। রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে শিল্প মন্ত্রণালয়।
শিল্পসচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ্র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত শিল্পসচিব মো. ফরহাদ উদ্দিন, সিআইপি কার্ড পাওয়া এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি কাজী আকরামউদ্দিন আহ্মদ এবং আবদুল মোনেম লিমিটেডের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এস এম মঈনউদ্দিন মোনেম বক্তব্য দেন।
পদাধিকারবলে সিআইপি কার্ড পাওয়া ব্যক্তিদের তালিকায় এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি ছাড়াও আছেন: বাংলাদেশ চেম্বারের সভাপতি এ কে আজাদ, বিজিএমইএর সভাপতি আতিকুল ইসলাম, বিকেএমইএর সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান, ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি সবুর খান, চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম, বিটিএমএর সভাপতি জাহাঙ্গীর আলামিন, এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি তপন চৌধুরী, বিজেএমএর সভাপতি নাজমুল হক, উইমেন এন্ট্রাপ্রেনিউর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নাসরীন ফাতেমা আউয়াল, ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প সমিতির সভাপতি মির্জা নুরুল গণি।
বৃহৎ শিল্পে সিআইপি পেয়েছেন: বিআরবি কেবলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পারভেজ রহমান, আবদুল মোনেম লিমিটেডের এমডি আবদুল মোনেম, এসিআইয়ের এমডি আরিফ দৌলা, ওয়েস্টার্ন মেরিনের এমডি সাখাওয়াত হোসেন, বিএসআরএমের চেয়ারম্যান আলী হোসাইন আকবর আলী, জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিকসের এমডি আবদুস সামাদ মো. রফিকুল ইসলাম, পাহাড়তলী টেক্সটাইল অ্যান্ড হোসিয়ারির এমডি মির্জা সালমান ইস্পাহানী, ইউনিলিভার বাংলাদেশের এমডি খন্দকার কামরান বকর, বাদশা টেক্সটাইলসের এমডি বাদশা মিয়া, ভিয়েলাটেক্সের এমডি কে এম রেজাউল হাসানাত, ফারিহা নিট টেক্সের এমডি আসাদুল ইসলাম, এসিআই ফরমুলেশনের চেয়ারম্যান এম আনিস-উদ-দৌলা, বার্জার পেইন্টসের এমডি রুপালী হক চৌধুরী, রানার অটোমোবাইলসের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান, জালাল আহমেদ স্পিনিংয়ের এমডি মো. শাহজাহান, মীর সিরামিকের এমডি মীর নাসির হোসেন, এমআরএস ইন্ডাস্ট্রিজের এমডি শামসুর রহমান, ভিয়েলাটেক্স স্পিনিংয়ের পরিচালক কানিজ ফাতেমা জেরিন, সুপার রিফাইনারির এমডি সেলিম আহমেদ, শাহ ফতেহউল্লা টেক্সটাইলের চেয়ারম্যান সেলিম আহমেদ, আফতাব বহুমুখী ফার্মসের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল ইসলাম।
মাঝারি শিল্পে সিআইপি হয়েছেন: অকো টেক্সের এমডি আবদুস সোবহান, বিআরবি পলিমারের এমডি মজিবর রহমান, ঈগলু ফুডসের পরিচালক এ এস এম মঈনউদ্দিন মোনেম, বসুমতী ডিস্ট্রিবিউশনের এমডি জেড এম গোলাম নবী, রয়েল গ্রিন প্রডাক্টসের চেয়ারম্যান আবদুল হক, ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্টের এমডি কে এস এম মোস্তাফিজুর রহমান, আলম সোপের এমডি শরীফুল আলম, বেলি ইয়ার্ন ডাইংয়ের এমডি মাসুদ জামান, মোশারফ স্পিনিংয়ের এমডি মোশারফ হোসেন, উইনসন অটো অয়েল মিলসের এমডি খায়রুল আনাম।
ক্ষুদ্র শিল্পে কিয়াম মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজের এমডি মিজবার রহমান, এফবি ফুটওয়্যারের এমডি অনিরুদ্ধ কুমার রায়, আরএমএম লেদার ইন্ডাস্ট্রিজের এমডি মহিউদ্দিন আহমেদ, অন্বেষা স্টাইলের এমডি ইউ এম আশেক, শোভা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী সৈয়দ আহম্মদ কিরণ সিআইপি হয়েছেন।
মাইক্রো শিল্পে ফু-ওয়াং ফুডসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ আহমেদ চৌধুরী আর কুটিরশিল্পে জননী উইভিংয়ের স্বত্বাধিকারী রফিকুল ইসলাম সিআইপি হয়েছেন।
সেবা খাতে অবদানের জন্য সিআইপি হয়েছেন: ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টের চেয়ারম্যান কবির রেজা, মীর আকতার হোসেন লিমিটেডের পরিচালক সোহেলা হোসেন, সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্সের এমডি আতিকুর রহমান, এমএম ইস্পাহানী লিমিটেডের চেয়ারম্যান মির্জা আলী বেহেরুজ ইস্পাহানী, বিল্ডিং ফর ফিউচারের এমডি তানভিরুল হক প্রবাল।
সিআইপি পরিচয়পত্রধারীরা জাতীয় অনুষ্ঠান এবং সিটি করপোরেশন আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ; ব্যবসাসংক্রান্ত ভ্রমণের সময় বিমান, রেলপথ, সড়ক ও জলপথে সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণে অগ্রাধিকার; ব্যবসার কাজে বিদেশ ভ্রমণে ভিসা পেতে তাঁদের অনুকূলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সংশ্লিষ্ট দূতাবাসে ‘লেটার অব ইনট্রোডাকশন’; স্ত্রী, পুত্র, কন্যা ও নিজের চিকিৎসায় হাসপাতালের কেবিন-সুবিধার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার এবং বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ-২ ব্যবহারের সুবিধা পাবেন। এই কার্ড সচিবালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে তাঁদের প্রবেশপত্র হিসেবে গণ্য হবে।