জিএসকে বন্ধের ষড়যন্ত্র চলছে, অভিযোগ এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের

বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানি গ্ল্যাস্কোস্মিথক্লাইনের (জিএসকে) কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার ‘অপচেষ্টা’ চলছে বলে অভিযোগ করেছে গ্ল্যাস্কোস্মিথক্লাইন এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসায় বাংলাদেশ থেকে গুটিয়ে নেওয়ার জন্য তৎপরতা চলছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ উঠে আসে।

তবে জিএসকে কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত তারা পান নি। এখন বৈশ্বিকভাবেই প্রতিষ্ঠানটির কর্মকাণ্ডের পর্যালোচনা চলছে।

আজকের সংবাদ সম্মেলনে গ্ল্যাস্কোস্মিথক্লাইন এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন সভাপতি মো. ইলিয়াছ এবং সাধারণ সম্পাদক মো. আজমের স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্য পাঠ করা হয়। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গ্ল্যাস্কোস্মিথক্লাইন জীবন রক্ষাকারী ওষুধ ও পুষ্টিকর খাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। ১৯৬৩ সালে চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট শিল্প এলাকায় এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই লাভজনক শিল্প প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ করে দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তাদের ব্যবসায় গুটিয়ে নেওয়ার জন্য দেশি-বিদেশি নানা মহল তৎপর হয়ে উঠেছে। তাদের তৎপরতার অংশ হিসেবে গ্ল্যাস্কোস্মিথক্লাইন বাংলাদেশ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সাম্প্রতিক সভার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে কোম্পানিটির বাংলাদেশের কারখানায় উৎপাদন ও উৎপাদিত পণ্য বিক্রয় কমিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই এ কারখানার প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আমদানি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। আবার উৎপাদিত অনেক ওষুধ গুদামজাত থাকার পরও এবং বাজারে চাহিদা থাকা সত্ত্বেও তা বাজারজাত করা হচ্ছে না।

কোম্পানিটির ওষুধ উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত প্রায় দেড় শ শ্রমিককে বসিয়ে রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, তাদের ধারণা বিদেশি পরিচালক (সিইও) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্যবসায় গুটিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ার সঙ্গে সরাসরি জড়িত।

গ্ল্যাস্কোস্মিথক্লাইন কর্তৃপক্ষের বক্তব্য
আজকের সংবাদ সম্মেলনে ওঠা অভিযোগ নিয়ে গ্ল্যাস্কোস্মিথক্লাইন কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির হেড অব কমিউনিকেশন রুমানা আহমেদ প্রথম আলোর কাছে তাদের অবস্থান তুলে ধরেন। রুমানা আহমেদ বলেন, এই প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত এই মুহূর্তে কারও কাছে আসেনি। বৈশ্বিকভাবেই প্রতিষ্ঠানটির কর্মকাণ্ডের পর্যালোচনা চলছে মাত্র। বাংলাদেশসহ ৭০টি দেশে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসায় ক্রমবর্ধমান। আর এখন এসব দেশের ব্যবসার বিষয়ে পর্যালোচনা চলছে।
রুমানা আহমেদ বলেন, প্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে কিছু উদ্বেগ ছড়িয়েছে। তবে এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছুই নেই। কোনো সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠানের সবাইকে না জানিয়ে নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।
রুমানা আহমেদ বলেন, প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও ব্যবস্থাপনার পরিচালকের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা একেবারে ভ্রান্ত।