কোরবানিতে মূল্যস্ফীতি বাড়বে না: পরিকল্পনামন্ত্রী

আ হ ম মুস্তফা কামাল । ফাইল ছবি
আ হ ম মুস্তফা কামাল । ফাইল ছবি

গত জুলাই মাসে মাসওয়ারিভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৫১ শতাংশ, যা আগের মাসের চেয়ে কিছুটা কম। গত জুনে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ। কোরবানির কারণে মূল্যস্ফীতি বাড়বে না।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য দেন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মূল্যস্ফীতির তথ্য হালনাগাদ করে থাকে।

মূল্যস্ফীতি কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতির হার ঠিকই আছে। চলতি অর্থবছরের মূল্যস্ফীতির গড় লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে পাঁচ শতাংশের কাছাকাছি আছে।

পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, পণ্যের চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে কোনো অসংগতি নেই। আন্তর্জাতিক বাজার থেকে আমরা যেসব পণ্য কিনে খাই, সেসব পণ্যের দাম বাড়েনি। যেমন ভোজ্যতেল, চিনি।

পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, কোরবানির কারণে মূল্যস্ফীতি বাড়বে বলে মনে হয় না। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এখন ঘরে ঘরে ফ্রিজ আছে। অনেকেই ঈদের পর বেশ কয়েক দিন ফ্রিজে রেখে মাংস খান। তখন খুব বেশি বাজার করতে হয় না। এর ফলে কোরবানির কারণে যে বাড়তি খাদ্যপণ্যের চাহিদা থাকে, তা সমন্বয় হয়ে যায়।

বিবিএসের তথ্য-উপাত্ত অনুযায়ী, গত জুলাইতে খাদ্য পণ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। আবার খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি কমেছে। গত জুলাইতে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতির হার ৬ দশমিক ১৮ শতাংশ। জুন মাসে এই হার ছিল ৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ। জুলাই মাসে খাদ্যবহির্ভূত খাতে এ হার ছিল ৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ। জুন মাসে এই খাতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

বিবিএস বলছে, গত জুলাই মাসে গ্রামের চেয়ে শহরের মানুষের ওপর মূল্যস্ফীতির চাপ বেশি ছিল। এ সময় সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল শহরে ৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ, আর গ্রামে ৫ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ।

মূল্যস্ফীতির চাপ সাধারণ মানুষের ওপর জীবনযাত্রায় প্রভাব ফেলছে না, এমন তথ্য পাওয়া যায় বিবিএসের জাতীয় মজুরি সূচক থেকে। মানুষের আয় কতটা বাড়ল কিংবা কমল, তা জাতীয় মজুরি হার সূচক দিয়ে বোঝানো হয়। বিবিএস বলছে, ২০১০-১১ ভিত্তিবছর ধরে গত জুলাই মাসে জাতীয় মজুরি বৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ। অর্থাৎ, যে হারে মূল্যস্ফীতি হয়েছে, তার চেয়ে বেশি হারে মজুরি বেড়েছে।