বেসিক ব্যাংকের এমডির পদত্যাগ

মুহাম্মদ আউয়াল খান
মুহাম্মদ আউয়াল খান

বেসিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মুহাম্মদ আউয়াল খান পদত্যাগ করেছেন। ব্যাংকটির চেয়ারম্যানের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। গত অক্টোবরে তাঁকে এমডি হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। ডুবতে থাকা এ ব্যাংকটির চাপ নিতে পারেননি তিনি। ২০১৯ সালের নভেম্বর পর্যন্ত তাঁর মেয়াদ ছিল।

বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন এ মজিদ আজ রোববার রাতে প্রথম আলোকে বলেন,‌‌ এমডির পদত্যাগপত্র পেয়েছি। ৩০ আগস্ট পরিচালনা পর্ষদের সভায় বিষয়টি উপস্থাপন করা হবে।

বেসিক ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ১৪ আগস্ট পদত্যাগপত্র জমা দিলেও তিনি অফিস করেছেন। ঈদের ছুটির পর আজ রোববারও তিনি অফিস করেছেন।

আউয়াল খান আগে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এমডির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০১৬ সালের ১৪ নভেম্বর কৃষি ব্যাংকের এমডি পদে যোগ দেন। ২০১৭ সালের আগস্টে অবসরজনিত ছুটিতে যান তিনি। ছুটিতে থাকা অবস্থায় তিনি ২০১৭ সালের ১ নভেম্বর তিন বছরের জন্য বেসিক ব্যাংকের এমডি হিসেবে যোগ দেন। এর আগে তিনি রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকেরও এমডি ছিলেন।


বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, যোগদানের পর ব্যাংকের কাজে মনোযোগ দিতে পারেননি তিনি। প্রথম দিকে ব্যাংকের খারাপ অবস্থা দেখেই কাজে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। এ কারণে এর আগেও পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন এমডি মুহাম্মদ আউয়াল খান।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, বেসিক ব্যাংকের ৫৯ দশমিক ২২ শতাংশই খেলাপি ঋণ। ব্যাংকটির খেলাপি ঋণ এখন ৮ হাজার ৫৯৪ কোটি টাকা। আর ৬৮টি শাখার মধ্যে ২১টিই লোকসানে।

সাবেক সংসদ সদস্য শেখ আবদুল হাই বাচ্চু বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান থাকার পাঁচ বছরে (২০০৯-১৪) নজিরবিহীন অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ হয়। ২০০৯ সালের ব্যাংকটির খেলাপি ঋণ ছিল ৫ শতাংশ, আর ২০১৪ সাল শেষে তা দাঁড়ায় ৬৮ শতাংশ। ওই পাঁচ বছরে ব্যাংকটির এই অবস্থার জন্য দায়ী মূলত পরিচালনা পর্ষদ। কেলেঙ্কারির পর এখন পর্যন্ত বেসিক ব্যাংককে বাজেট থেকে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে সরকার। তবে তাতেও খুব একটা লাভ হয়নি।