দশ কেলেঙ্কারিতে লোপাট ২২,৫০২ কোটি টাকা

*বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে সিপিডি এ তালিকা তৈরি করেছে
*বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে সিপিডি এ তালিকা তৈরি করেছে
>

• সিপিডির সংলাপ
• সংলাপের শিরোনাম ছিল ‘বাংলাদেশের ব্যাংক খাত নিয়ে আমরা কী করব’।
• আলোচকেরা মনে করেন, এই খাতে উন্নয়নের বদলে অনুন্নয়ন হয়েছে।

গত ১০ বছরে ব্যাংক খাতের ১০টি বড় কেলেঙ্কারিতে লোপাট হয়েছে ২২ হাজার ৫০২ কোটি টাকা। এসব কেলেঙ্কারি ঘটেছে মূলত সরকারি ব্যাংকে। সোনালী ব্যাংকের হল-মার্ক গ্রুপ দিয়ে শুরু হলেও সবচেয়ে বেশি কেলেঙ্কারি ঘটেছে জনতা ব্যাংকে। আরও রয়েছে বেসিক ও ফারমার্স ব্যাংকের অনিয়ম-দুর্নীতির ঘটনা।

গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এ তথ্য প্রকাশ করেছে। আর এসব তথ্য নিয়ে অনুষ্ঠিত এক সংলাপে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ যেন ব্যাংকিং খাতকে অনিয়ম ও লুটপাটের হাত থেকে নিষ্কৃতি দেন। ব্যাংকিং খাতকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সুবিধার জন্য ব্যবহার না করা হয়। আর ভবিষ্যতে যাঁরা ক্ষমতায় আসবেন, তাঁরা যেন অর্থ লুটপাটের ক্ষেত্র হিসেবে ব্যাংক খাতকে বেছে না নেন।

সিপিডির আয়োজনে গতকাল শনিবার ‘বাংলাদেশের ব্যাংক খাত নিয়ে আমরা কী করব’ শীর্ষক এই সংলাপ স্থানীয় একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। সংলাপে আরও অংশ নেন দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ও বর্তমান ব্যাংকার এবং সাবেক সরকারি কর্মকর্তারা। তাঁরা দেশের ব্যাংক খাতের দুরবস্থা, ঝুঁকি, সমাধানসহ সার্বিক বিষয়ে আলোচনা করেন। সংলাপে সভাপতিত্ব করেন সিপিডির বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। 

১০ বছরে ১০ কেলেঙ্কারি
মূল নিবন্ধে ফাহমিদা খাতুন বলেন, গত ১০ বছরে জনতা ব্যাংক থেকে অ্যাননটেক্স, ক্রিসেন্ট ও থারমেক্স গ্রুপ মিলে ১১ হাজার ২৩০ কোটি টাকা হাতিয়েছে। বেসিক ব্যাংক থেকে বের হয়ে গেছে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা। সোনালী ব্যাংক থেকে হল-মার্ক নিয়ে গেছে ৩ হাজার ৫৪৭ কোটি টাকা। বিসমিল্লাহ গ্রুপ নিয়েছে ১ হাজার ১৭৪ কোটি টাকা। এ ছাড়া রিজার্ভ চুরির মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে হারিয়েছে ৬৭৯ কোটি টাকা। নতুন প্রজন্মের এনআরবি কমার্শিয়াল ও ফারমার্স ব্যাংক থেকে লোপাট হয়েছে ১ হাজার ২০১ কোটি টাকা। এবি ব্যাংক থেকে পাচার হয়েছে ১৬৫ কোটি টাকা।

ব্যাংক খাতের এই ১০টি বড় কেলেঙ্কারিতে লোপাট হওয়া ২২ হাজার ৫০২ কোটি টাকা দিয়ে কী করা সম্ভব, তারও একটি চিত্র তুলে ধরেছে সিপিডি। সেখানে বলা হয়েছে, এই টাকা দিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণের ৭৮ শতাংশ বা পদ্মা সেতুর রেলসংযোগ প্রকল্পের ৬৪ শতাংশ ব্যয় নির্বাহ করা যেত। আবার সোনাদিয়া গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে প্রায় ৪১ শতাংশ টাকার জোগান দেওয়া সম্ভব ছিল।

সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় ব্যাংক খাত
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ব্যাংক খাতে জবাবদিহি নেই। সংক্রামক ব্যাধির মতো সরকারি ব্যাংকের সমস্যা বেসরকারি ব্যাংকে ছড়িয়ে পড়ছে। এটা বড় উদ্বেগের বিষয়। বাংলাদেশের ব্যাংক, পরিচালনা পর্ষদ ও তদারকি ব্যবস্থা টালমাটাল হয়ে গেছে। ব্যাংক ধ্বংস হলে কাটিয়ে ওঠা কঠিন হবে। সুশাসনের প্রচণ্ড অভাব দেখা যাচ্ছে। যারা টাকা মেরে দিচ্ছে, তাদের কিছুই হচ্ছে না।’

সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংককে শুধু ক্ষমতা নিয়ে বসে থাকলে চলবে না, প্রয়োগ করতে জানতে হবে। তবে রাজনৈতিক সদিচ্ছা না থাকলে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাজ করা কঠিন। ব্যাংক খাতের সমস্যা সমাধানে স্বাধীন কমিশন প্রয়োজন।

সংলাপের সম্মানিত অতিথি বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, এযাবৎকালের মধ্যে সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় আছে ব্যাংক খাত, প্রতিনিয়ত খারাপ হচ্ছে। ব্যাংকের ৯০ শতাংশ অর্থের জোগান দেয় আমানতকারীরা। তাদের দেখার জন্য ব্যাংকে কেউ নেই। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়িত্ব আমানতকারীদের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভাল করার। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক এ দায়িত্ব পালনে অক্ষম। ধনী মালিকদের প্রাধান্য দিতে গিয়ে সাধারণ আমানতকারীর স্বার্থ ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ আরও বলেন, সুদ নির্ভর করে বাজারের ওপর। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর দোহাই দিয়ে ব্যাংক মালিক সমিতির চেয়ারম্যান সুদহার নির্ধারণ করে দিলেন। বলা হলো, না মানলে এমডিদের চাকরি চলে যাবে। এসব কিসের আলামত? ব্যাংক খাত থেকে ভদ্রলোকদের সরিয়ে কি লুটপাটকারীদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে? তাঁর পরামর্শ হচ্ছে, ব্যাংক খাত নিয়ে সমীক্ষা সংসদে তুলে ধরা প্রয়োজন। জাতীয় সংসদ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর নিয়োগ দেওয়া উচিত। তাহলেই ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ জমিদারের ভূমিকায় থাকবে না। 

তিনজনের কারণে ঝুঁকিতে ২৩ ব্যাংক
আলোচনায় অংশ নিয়ে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জাতীয় নির্বাচনে ঋণখেলাপি প্রার্থীদের মনোনয়ন বৈধতা সম্পর্কে বলেন, প্রভাবশালী প্রার্থীদের ব্যাংক থেকে নতুন ঋণ সৃষ্টি করে পুরোনো ঋণের কিছু অংশ পরিশোধ করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এভাবে খেলাপি ঋণের পুনঃ তফসিল করা হচ্ছে। পুরো বিষয়টি অত্যন্ত হাস্যকর পর্যায়ে নিয়ে আসা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বাজার থেকে শেয়ার কিনে যেকোনো ব্যাংকের মালিকানা নেওয়া যায়। কিন্তু নিয়ন্ত্রণ কাঠামো না থাকায় এক ব্যবসায়ী গ্রুপ একচেটিয়াভাবে অনেকগুলো ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। পুরো অর্থনীতিকে কিছু ব্যবসায়ীর হাতে জিম্মি করে ফেলার একই ভুল যেন আবার না করি।

এই অর্থনীতিবিদের মতে, কয়েক বছর ধরে ব্যাংকিং খাতে উন্নয়নের বদলে অনুন্নয়ন হচ্ছে। অথচ এই খাতের মধ্য দিয়ে অর্থনীতি অগ্রসর হয়। এই প্রথম দেখা যাচ্ছে, আমানতকারীদের মধ্যে প্রশ্ন জাগছে—কোন ব্যাংকে টাকা রাখলে তা নিরাপদ থাকবে। রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালীরা অনিয়ম করে ঋণ নিয়েও পার পেয়ে যান।

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশে ১০ জন বড় ঋণগ্রহীতার মধ্যে ৩ জন বিপদে পড়লে ২৩টি ব্যাংক ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাবে। এই খাতের সংস্কার আজ থেকে নয়, গতকাল থেকেই শুরু করা উচিত ছিল। নিয়ন্ত্রক সংস্থা, ব্যাংকার ও বড় ঋণগ্রহীতার—এই চক্রে হাত দিতে হবে। বিপদগ্রস্ত ব্যাংকগুলোকে শর্তহীন পুনঃ অর্থায়ন করা হচ্ছে। মালিকদের পর্ষদে ছয় বছরের পরিবর্তে নয় বছর থাকার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। এতে আমানতকারীরা ঝুঁকিতে পড়ছেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতি ইঙ্গিত করে জাহিদ হোসেন আরও বলেন, সার্বিকভাবে নিয়ন্ত্রকদের নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে, এটি ভবিষ্যতে আরও বাড়বে। আমরা এখন ভুল পথে আছি। যাঁরা ব্যাংক খাতকে নিয়ন্ত্রণ করবেন, তাঁদের স্বাধীনতা না দিলে কিংবা তাঁদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা না হলে, বইপত্রে এত কিছু লিখেও কোনো লাভ হবে না। সর্বোপরি, ব্যাংক খাত ঠিক করতে রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রয়োজন হবে।

ব্যাংক লুট করা একশ্রেণির ব্যবসায়ীদের ব্যবসা হয়ে গেছে—এই মন্তব্য করেন অর্থনীতিবিদ আবু আহমেদ। 

ফারমার্স ব্যাংকে ছিলেন ক্ষমতাশালী ব্যক্তি
ফারমার্স ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এহসান খসরু সংলাপে বলেন, ‘ফারমার্স ব্যাংক পুনর্গঠন করা না হলে দেড় লাখ আমানতকারীর মধ্যে বিপর্যয় নেমে আসত। এতে নতুন আটটি ব্যাংকেও বিপর্যয় ঘটত। ব্যাংকের পচন শুরু হয় পর্ষদ থেকে। ব্যবস্থাপনা পর্যায়ে কেউ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন না। সামাজিকভাবে ছোট করার আশঙ্কা, চাকরি চলে যাওয়ার ভয়—এসব কারণে আমরা তাদের (পরিচালনা পর্ষদ) সঙ্গে হাত মেলাতে বাধ্য হই।’

ফারমার্স ব্যাংকের অনিয়ম রোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিলম্বিত ভূমিকা প্রসঙ্গে এহসান খসরু বলেন, ফারমার্স ব্যাংকে তো বাংলাদেশ ব্যাংকের চেয়ে ক্ষমতাশালী ব্যক্তি বসে ছিলেন। তিনি আবার সরকারের আর্থিক হিসাব কমিটিতেও ছিলেন। প্রসঙ্গত, সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মহীউদ্দীন খান আলমগীর ফারমার্স ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন।

ইস্টার্ণ ব্যাংকের এমডি আলী রেজা ইফতেখারের সুপারিশ হলো, স্বাধীন ব্যাংক কমিশন গঠনের কোনো প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন স্বাধীনভাবে কাজ করা। ব্যাংক খাতের কিছু জায়গায় ব্যর্থতা আছে, তবে সাফল্যের সংখ্যাই বেশি।

 ‘কিছু হলে ব্যাংকারদের দোষ হয়। ব্যাংকারদের এখন কেউ ভালো চোখে দেখে না। প্রশ্নের মধ্যে পড়তে হয়। অথচ ঋণখেলাপি হলে নেপালে পাসপোর্ট জব্দ করা হয়। বাংলাদেশের আর্থিক খাতে কে কী নিয়ন্ত্রণ করছে—সব তালগোল পাকিয়ে গেছে। এটাই বড় সংকট’—এভাবেই ব্যাংকিং খাতের কথা বলেছেন এনসিসি ও মেঘনা ব্যাংকের সাবেক এমডি নুরুল আমিন।

তবে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান নিজাম চৌধুরী বলেন, ‘জাতি হিসেবে আমরা শুধু সমালোচনা করি। গত ১০ বছরে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় কোনো অর্থ পাচার হয়নি। ব্যাংক খাত এগিয়ে চলছে। 

নিজেদের মালিক মনে করেন পরিচালকেরা
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মজিদ মনে করেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থার ভূমিকা সঠিক থাকলে ব্যাংক খাতে এত কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটত না।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের পরিচালক শাহ মো. আহসান হাবিব বলেন, বাংলাদেশে খেলাপি ঋণ যে হারে বাড়ছে, তা উদ্বেগের বিষয়। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের হাতে তো সরকারি ব্যাংক নিয়ন্ত্রণের পুরো ক্ষমতা নেই।

সাবেক অর্থসচিব সিদ্দিকুর রহমান বলেন, খেলাপি ঋণ আদায় করা যাবে কি না, এ সিদ্ধান্ত সরকারপ্রধানের পক্ষ থেকে আসতে হবে।

এমসিসিআইয়ের সাবেক সহসভাপতি কামরান টি রহমান বলেন, নিজেদের মালিক মনে করেন ব্যাংকের পরিচালকেরা। তাঁদের বিশ্বাস করে মানুষ ব্যাংকে টাকা জমা রাখে, এটা তাঁরা মনেই করেন না।

বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও তরুণ ব্যবসায়ী তাবিথ আউয়াল বলেন, সামনে নির্বাচন, ঋণখেলাপিদের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ইশতেহারে বিশেষ ঘোষণা থাকতে হবে। ব্যাংকঋণ নিয়ে শোধ করছেন না, এমন কারও মনোনয়ন দেওয়া উচিত হবে না। বিএনপি এমন কাউকে মনোনয়ন দিলে সুশীল সমাজ তা তুলে ধরতে পারে। 

নাগরিক কমিশন গঠনের সুপারিশ
সিপিডির বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, সরকারিভাবে উদ্যোগ নেওয়া না হলেও আগামী নির্বাচনের পর ব্যাংক খাত নিয়ে একটি নাগরিক কমিশন করবে সিপিডি। ওই কমিশন ব্যাংক খাতের একটি স্বচ্ছ চিত্র তুলে ধরবে। কেন ব্যাংক খাতের এই অবস্থা, সেই কারণগুলো উদ্ধার করবে। পরে সমাধানের পথ খোঁজা হবে। ব্যাংক খাত হলো অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড। এই হৃৎপিণ্ডকে সচল রাখতে হবে।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোকে ইশতেহারে বলতে হবে, ব্যাংক খাতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ করবে না। এ জন্য প্রয়োজনীয় আইন, বিধিবিধান করা হবে। রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ থেকে ব্যাংক খাতকে নিষ্কৃতি দিতে হবে।