বিডিবিএলকে পুঁজিবাজারে যাওয়ার পরামর্শ অর্থমন্ত্রীর

বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডকে (বিডিবিএল) পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহের পরামর্শ দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেছেন, পুঁজিবাজারে যুক্ত হয়ে বিডিবিএল প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহ করতে পারে। পরিচালনা পর্ষদকে পুঁজিবাজারে যাওয়ার জন্য পরিকল্পনা করে আগামী ছয় থেকে নয় মাসের মধ্যে তা অর্থ মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়ার পরামর্শও দেন অর্থমন্ত্রী।
বিডিবিএলে বার্ষিক ব্যবসা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গতকাল বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী এই পরামর্শ দেন। সোনারগাঁও হোটেলে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে একই অনুষ্ঠানে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব এম আসলাম আলম জানান, বর্তমানে বেশির ভাগ ব্যাংকের ব্যালেন্স শিটের অবস্থা খুবই খারাপ। তবে বিডিবিএলের ভালো-খারাপের মধ্যে ভালোর পরিমাণই বেশি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০১০ সালে পুঁজিবাজারের মহাধসের পর স্থিতিশীল করার জন্য যে সংস্কার হয়েছে, অন্য দেশে তা ১২-১৩ বছর লাগবে। আর এখানে তিন বছরেই বাজার শক্তিশালী হয়েছে। তাই আর কোনো ধস হয়নি। ধস শিক্ষা দেয়। তাঁর মতে, তিন বছর ধরে পুঁজিবাজার অত্যন্ত স্থিতিশীল। তবে সূচকের ওঠানামা থাকবেই।
একই অনুষ্ঠানে অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী ব্যাংকিং খাত উন্নয়ন করে চলেছে।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব বিডিবিএলের সমালোচনা করে বলেন, ব্যাংকটির মোট ঋণের এক-তৃতীয়াংশই খেলাপি। ২০১৩ সাল শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৫২০ কোটি টাকা। এই হার বেশি। এটা কমাতে হবে।
ব্যাংকটির অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ও নীতি পরিপালনের (কমপ্লায়েন্স) দিকে বেশি মনোযোগী হওয়ার জন্য বিডিবিএল কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান এম আসলাম আলম। তিনি মনে করেন, এতে খেলাপি ঋণের হার কমবে। মুনাফাও হবে।
এম আসলাম আলম আরও বলেন, বিডিবিএল হওয়ার সময় একটি ভালো ভিত্তি পেয়েছিল। সেই সঙ্গে বিশাল ঋণের বোঝাও ছিল।
সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন বিডিবিএলের চেয়ারম্যান শান্তি নারায়ণ ঘোষ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিল্লুর রহমান প্রমুখ।