বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে দারুণ আশাবাদী গ্রামীণফোন প্রধান

বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে চায় গ্রামীণফোন। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিয়ে দারুণ আশাবাদী দেশের শীর্ষ মোবাইল ফোন অপারেটর এই প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাইকেল ফোলি। গত রোববার বিকেলে প্রথম আলো কার্যালয় পরিদর্শনের সময় তিনি এসব কথা জানান।

প্রথম আলো কার্যালয়ে মাইকেল ফোলিকে স্বাগত জানান সম্পাদক মতিউর রহমান। ফোলিকে প্রথম আলো কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ঘুরিয়ে দেখানো হয়।

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিয়ে দারুণ আশাবাদী মাইকেল ফোলি বলেন, ‘আমার মনে হয়েছে, সংবাদের শিরোনামে আমরা বাইরে থেকে যা দেখি, তার চেয়ে অনেক বেশি কিছু আছে এখানে। গত ১০ বছরে এখানে অবিশ্বাস্য প্রবৃদ্ধি ও অগ্রগতি হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও অনেক কিছু ঘটবে। আমরা বাংলাদেশে বিনিয়োগের ব্যাপারে দারুণ আগ্রহী। গত বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালে আমার কোম্পানি এবং এটির অংশীদারেরা ৪০ কোটি ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছে। ভবিষ্যতে আমরা আরও বিনিয়োগ করতে চাই। কেননা প্রবৃদ্ধি এখানে কেবল শুরু করেছে।’

গ্রামীণফোনই এ দেশে প্রথম মোবাইল ইন্টারনেট চালু করে এবং তা সারা দেশে ছড়িয়ে দিয়ে মানুষকে তথ্যের জগতে প্রবেশ করার সুযোগ করে দেয়। বর্তমানে ৩ কোটি ৬০ লাখের বেশি গ্রাহক নিয়ে গ্রামীণফোন দেশের বৃহত্তম ইন্টারনেট সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান।

ফোর-জি নেটওয়ার্ক বিস্তারের প্রসঙ্গ টেনে মাইকেল ফোলি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে ৭ কোটি ২০ লাখ গ্রাহককে সেবা দিচ্ছি। সারা বিশ্বের শীর্ষ ২০ কোম্পানির একটিতে পরিণত করেছে। ডেটার ক্ষেত্রে আমরা সবেমাত্র ফোর-জি শুরু করেছি।’

গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল ফোলি
গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল ফোলি

প্রথম আলো কার্যালয় পরিদর্শনের প্রসঙ্গ টেনে মাইকেল ফোলি বলেন, ‘বাংলাদেশে আসার আগে প্রথম আলোর ইংরেজি সংস্করণ থেকে আমি এ দেশ সম্পর্কে অনেক কিছু জেনেছি। আজ আমার প্রথম এখানে আসার সুযোগ হলো। প্রথম আলো শুধু একটি সংবাদপত্র নয়, এটি একটি বিশাল প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান। আমি এই বিস্ময়কর প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য এবং এর কর্মীদের সম্পর্কে জানতে এসেছি।’

গ্রামীণফোন ও প্রথম আলো যৌথ উদ্যোগে কাজ করার প্রসঙ্গে মাইকেল ফোলি বলেন, ‘আমি প্রায় দুই বছর ধরে বাংলাদেশে আছি। প্রথম আলোর মতো অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করলে আমাদের বার্তা আরও ভালোভাবে আমরা পৌঁছে দিতে পারব। এটি বাংলাদেশে প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। ভবিষ্যতে দুটি প্রতিষ্ঠান কীভাবে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে পারে, সেটা অনুসন্ধান আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’