এফবিসিসিআইয়ের নির্বাচনে কারও কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) ২০১৯-২১ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে ৪২টি পরিচালক পদের বিপরীতে মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে মোট ৪২টি। ফলে কারও কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী থাকছে না। আজ সোমবার ছিল সংগঠনটির নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন।

নির্বাচনী বোর্ডের সদস্য কে এম এন মঞ্জুরুল হক প্রথম আলোকে বলেন, যতগুলো পদ, ততগুলোই মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। এসব যাচাই-বাছাই শেষে আগামী ৪ এপ্রিল চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে।

২৭ এপ্রিল এফবিসিসিআইয়ের নির্বাচনের ভোটাভুটির কথা ছিল। এবার সভাপতি কে হচ্ছেন, সেটা মোটামুটি নিশ্চিত। সভাপতি পদে একক প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন এখনকার সহসভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম। তাঁর নেতৃত্বে যে প্যানেল হয়েছে, সেখানকার সবাই পরিচালক হচ্ছেন বলে জানা গেছে।

সব মিলিয়ে সংগঠনটিতে মোট পরিচালক পদ ৭২টি। এসব পদ আবার দুই ভাগে বিভক্ত। এক ভাগে ৩৬টি পদে পরিচালক হন দেশের জেলাভিত্তিক বাণিজ্য সংগঠন বা চেম্বার থেকে। আর ৩৬টি পদ সংরক্ষিত পণ্যভিত্তিক ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর জন্য। ৭২টি পরিচালক পদের মধ্যে ৪২টিতে সাধারণ সদস্যরা ভোট দিয়ে নেতা নির্বাচন করেন। বাকি ৩০টি পদে দেশের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য সংগঠন থেকে মনোনীত পরিচালক হন।

কোন কোন সংগঠন থেকে পরিচালকেরা মনোনীত হবেন, তা ঠিক করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। জেলা চেম্বার ও পণ্যভিত্তিক সদস্য সংগঠনগুলো এফবিসিসিআইয়ের সাধারণ সদস্য, যাঁদের ভোটাধিকার রয়েছে।

সাধারণ সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত ও মনোনীত পরিচালকেরা ভোট দিয়ে পরবর্তী সময়ে সভাপতি ও সহসভাপতি নির্বাচন করেন। কিন্তু অতীতে দেখা গেছে, সভাপতি ও সহসভাপতি পদে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী থাকে না।

এর আগে ২০১৭ সালের ১৪ মে এফবিসিসিআইয়ের দ্বিবার্ষিক-বার্ষিক নির্বাচন হয়েছিল। ওই নির্বাচনে জয়ী সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম ও সহসভাপতি মুনতাকিম আশরাফের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন না। পরিচালক পদেও চেম্বার অংশে ভোটাভুটি ছাড়া বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা নির্বাচিত হন। তবে পণ্যভিত্তিক সংগঠন বা অ্যাসোসিয়েশন অংশে তখন ভোটাভুটি হয়েছিল। উৎসবমুখর পরিবেশে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছিলেন ভোটাররা।