'দেশীয় শিল্প রক্ষায় সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে'

শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। ফাইল ছবি
শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। ফাইল ছবি

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, ওয়ালটনের মতো শিল্প উদ্যোক্তারা এগিয়ে এলে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ধনী দেশের কাতারে খুব সহজেই পৌঁছাতে পারবে বাংলাদেশ। ওয়ালটনের মতো প্রতিষ্ঠান থাকলে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের কর্তৃত্ব থাকবে।
আজ বৃহস্পতিবার গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাই-টেক কারখানা পরিদর্শনকালে শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। দেশীয় প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন শিল্পের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণের উদ্দেশ্যে তাঁরা ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শন করেন।

সকালে শিল্পমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং তাঁদের সফরসঙ্গীরা ওয়ালটন কারখানায় পৌঁছালে তাঁদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানান ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের ভাইস-চেয়ারম্যান এস এম শামসুল আলম, পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম এবং তাহমিনা আফরোজ তান্না।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক এস এম জাহিদ হাসান, হুমায়ূন কবির, উদয় হাকিম, আলমগীর আলম সরকার, ইউসুফ আলী, ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শরীফ হারুনুর রশিদ, শাহজাদা সেলিম, সিনিয়র এডিশনাল ডিরেক্টর মোহসীন আলী মোল্লা, এডিশনাল ডিরেক্টর মিলটন আহমেদ, মিডিয়া উপদেষ্টা এনায়েত ফেরদৌস প্রমুখ।

শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, ওয়ালটনের মতো দেশীয় শিল্প রক্ষায় সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে। রপ্তানি বৃদ্ধিতে সহায়তা করা হবে। দেশীয় শিল্পের স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনে আমদানির ওপর ট্যাক্স বসানো হবে। তাহলে স্থানীয় উদ্যোক্তারা উৎসাহিত হবে। 

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ওয়ালটনে এসে আমার ধারণাই পাল্টে গেছে। তাদের কারখানা পরিবেশবান্ধব। এখানে সব ধরনের যন্ত্রাংশই তৈরি হচ্ছে। দেশের অর্থ ব্যয় করে এসব পণ্য আর আমদানি করার প্রয়োজন পড়ছে না। বরং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। দেশে তৈরি উচ্চমানের পণ্য দিয়ে বাংলাদেশের জন্য সুনাম বয়ে আনছে ওয়ালটন।’

দেশীয় হাই-টেক শিল্প বিকাশ ও সুরক্ষায় শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে বলে প্রতিমন্ত্রী জানান। বিশ্বমানের প্রযুক্তিপণ্য দিয়ে ওয়ালটন বিশ্ববাজার দখল করতে পারবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এদিকে শিল্পমন্ত্রী তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘ওয়ালটনের হাই-টেক কারখানা পরিদর্শন করে আমার আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেছে। এখানে ব্যাপকসংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। কর্মীদের জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। সবকিছু দেখার পর ওয়ালটন আমার হৃদয় স্পর্শ করেছে। আগে ইউরোপ, জাপানের মতো দেশ থেকে যেসব পণ্য বাংলাদেশে আসত। ওয়ালটন এখন দেশেই সেসব পণ্য তৈরি করছে।’

এর আগে সকালে কারখানা প্রাঙ্গণে পৌঁছে অতিথিরা ওয়ালটনের কর্মযজ্ঞের ওপর নির্মিত ভিডিও ডকুমেন্টারি উপভোগ করেন। এরপর তাঁরা ওয়ালটনের সুসজ্জিত প্রোডাক্ট ডিসপ্লে সেন্টার ঘুরে দেখেন। পরে তাঁরা ওয়ালটনের রেফ্রিজারেটর উৎপাদনের প্রক্রিয়া সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করেন। পর্যায়ক্রমে অতিথিরা ফাউন্ড্রি, কমপ্রেসর বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন ইউনিট ঘুরে দেখেন।
দেশীয় হাই-টেক শিল্পের এই অগ্রগতি দেখার উদ্দেশ্যেই শিল্পমন্ত্রী এবং শিল্প প্রতিমন্ত্রী ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শন করেন বলে জানা যায়।