হ্যারি-মেগানের সন্তানকে কর দিতে হবে যুক্তরাষ্ট্রে

প্রিন্স হ্যারি ও ডাচেস অব সাসেক্স মেগান মার্কেল। ছবি: রয়টার্স
প্রিন্স হ্যারি ও ডাচেস অব সাসেক্স মেগান মার্কেল। ছবি: রয়টার্স

শিগগিরই ব্রিটিশ রাজপরিবারে সদস্যসংখ্যা বাড়ছে। একই সঙ্গে কর বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের। অবাক লাগছে? প্রিন্স হ্যারি ও ডাচেস অব সাসেক্স মেগান মার্কেলের সংসারের নতুন সদস্যকে সম্পত্তি বাবদ কর দিতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে।

বিশ্বের মাত্র কয়েকটি দেশ নাগরিকত্বের ওপর কর আরোপ করে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রও এর মধ্যে। প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেলের সন্তান ব্রিটিশ বাবা এবং মার্কিন মায়ের সন্তান হওয়ায় দ্বৈত নাগরিকত্বের অধিকার পাবে। নিয়ম অনুযায়ী, মা-বাবার মধ্যে কোনো একজন যদি মার্কিন নাগরিক হন এবং সেই দেশে কমপক্ষে পাঁচ বছর (যার মধ্যে ১৪ বছর বয়সের পর ২ বছর) বসবাস করেন, তাহলে তাঁর সন্তান আপনা থেকেই মার্কিন নাগরিকত্ব লাভ করে। তাই অনাগত সন্তানকে নিয়ে হ্যারি-মেগান স্থায়ীভাবে যুক্তরাজ্যের উইন্ডসরের ফ্রগমোর কটেজে বাস করলেও যুক্তরাষ্ট্রের কর কর্তৃপক্ষ ইন্টারনাল রেভিনিউ সার্ভিসের (আইআরএস) কাছে করসংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জমা দিতে বাধ্য থাকবেন তাঁরা। সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য ব্যাংকে কত অর্থ গচ্ছিত রেখেছেন, কে কত টাকার উপহার দেবে শিশুটিকে, এসবই আইআরএসকে জানাতে হবে। ভবিষ্যতের কোনো বিনিয়োগ বা সম্পত্তি থেকে আয় শিশুটির নামে রাখা হলে তাও করের আওতায় পড়বে।

মেগান যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছেন। তবে সব প্রক্রিয়া শেষ হয়ে এটি পেতে বেশ সময় লাগবে। ২০১৮ সালে এই রাজদম্পতির বিয়ের দিনই জানানো হয় নাগরিকত্ব পেতে মেগানকে অন্তত পাঁচ বছর যুক্তরাজ্যে বসবাস করতে হবে। নাগরিকত্ব পাওয়ার পর মার্কিন নাগরিকত্ব ও তাঁর করের দায় অস্বীকার করতে পারবেন মেগান।