গত ১০ বছরে আইসিটি খাতে ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান: পলক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ বলেছেন, গত ১০ বছরে আইসিটি খাতে বাংলাদেশে ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরে বলেন, ১০ বছর আগে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৫০ লাখ। সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে দেশে বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে প্রায় সাড়ে ৯ কোটিতে পৌঁছেছে।
আজ বুধবার এস্তোনিয়ার রাজধানী তাল্লিনে ‘পঞ্চম ই-গভর্নেন্স সম্মেলন ২০১৯’-এর দ্বিতীয় দিনে মিনিস্ট্রিয়াল প্যানেল আলোচনায় আলোচক হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন। এই সেশনে বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন বলে আজ ঢাকায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী প্যানেল আলোচনায় বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন ও বিকাশে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের দ্রুতগতির ইন্টারনেটের যুগে নিজ সোসাইটির ট্রান্সফরমেশন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে ২০০৮ সালে রূপকল্প ২০২১ ঘোষণা করেছেন। এই রূপকল্প বাস্তবায়নে চারটি স্তম্ভ বা পিলার নির্ধারণ করা হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে মানবসম্পদ উন্নয়ন, ইন্টারনেটের সংযোগ দেওয়া, ই-গভর্ন্যান্স এবং তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প খাত গড়ে তোলা।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১০ বছর আগে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৫০ লাখ। ইন্টারনেটের দাম বেশি হওয়ার কারণে মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারত না। বর্তমান সরকার এর দাম কমিয়ে সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে এনেছে। প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে সাড়ে ৯ কোটিতে পৌঁছেছে।
ইন্টারনেট কানেকটিভিটি ছাড়া ডিজিটাল ইকোনমি সম্ভব নয় উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, সরকার শহর থেকে গ্রামে ডিজিটাল সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দিতে ৫০০০–এর অধিক ডিজিটাল সার্ভিস সেন্টার স্থাপন করেছে। প্রতি মাসে ৬ মিলিয়ন মানুষ এই ডিজিটাল সেন্টার থেকে ২০০–এর অধিক বিভিন্ন সেবা পাচ্ছে।
তিনি বলেন, গত ১০ বছর আগে আইসিটি খাতে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২৬ মিলিয়ন ডলার। বর্তমান সরকারের ব্যবসাবান্ধব কর্মসূচি গ্রহণের ফলে বর্তমানে রপ্তানির পরিমাণ ১ বিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। সরকার উদ্যোক্তাদের জন্য ফাইন্যান্সিয়াল সাপোর্ট প্রদান, মেন্টরিং, কোচিং ও রিসার্চ ডেভেলপমেন্টের জন্য ২৮টি হাইটেক পার্ক প্রতিষ্ঠা করেছে। এসব হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা সব ধরনের সহায়তা পাবেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী আরও জানান, সরকার আগামী ৫ বছরে আইসিটি খাতের রপ্তানি ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীতকরণ, ৯০ ভাগ সেবা অনলাইনে প্রদান, দেশের শতকরা শতভাগ জনগণকে কানেকটিভিটির আওতায় আনা এবং আরও ১ মিলিয়ন জনবলের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে কর্মসূচি প্রণয়ন করা হয়েছে।