তামাক কোম্পানিগুলো লাভবান হবে: প্রজ্ঞা ও আত্মা

তামাকবিরোধী সংগঠন প্রজ্ঞা ও আত্মা বলেছে, প্রস্তাবিত বাজেটে করহার ও স্তরসংখ্যা অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাবে তামাক কোম্পানি লাভবান হবে। এ ছাড়া নিম্নস্তরের সিগারেটের মূল্য মাথাপিছু আয়ের তুলনায় কম। তবে ধোঁয়াবিহীন তামাক পণ্যে কর বাড়ায় সরকারের প্রশংসা করেছে সংগঠন দুটি।

২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে পেশ করা হয়। প্রস্তাবিত বাজেট তামাক পণ্যের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে তামাকবিরোধী সংগঠন প্রজ্ঞা ও আত্মা।

সংগঠন দুটির বিবৃতিতে বলা হয়, প্রস্তাবিত বাজেটে মধ্যম, উচ্চ ও প্রিমিয়াম স্তরে সিগারেটের সম্পূরক শুল্ক ৬৫ শতাংশ অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। শুধু মূল্য পরিবর্তনের মাধ্যমে ১০ শলাকা সিগারেটের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে যথাক্রমে ৬৩, ৯৩ ও ১২৩ টাকা। এতে সিগারেট কোম্পানিগুলোকে ৩১ শতাংশ পর্যন্ত আয় বৃদ্ধির সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।

সংগঠন দুটি বলছে, তামাক ব্যবহারজনিত মৃত্যু ও অসুস্থতার বোঝা মাথায় নিয়ে তামাক কোম্পানিগুলোকে লাভবান করার এই বাজেট চরম হতাশাজনক, জনস্বাস্থ্যবিরোধী।

প্রস্তাবিত বাজেটে নিম্নস্তরে সিগারেটের মূল্যবৃদ্ধি করা হয়েছে শলাকাপ্রতি ২০ পয়সা বা ৫ দশমিক ৭ শতাংশ।

বিবৃতিতে বলা হয়, এ সময়ে জনগণের মাথাপিছু আয় বেড়েছে ১১ দশমিক ৩২ শতাংশ। ধূমপায়ীদের মধ্যে প্রায় ৭২ শতাংশ নিম্নস্তরের সিগারেটের ভোক্তা। প্রস্তাবিত বাজেট কার্যকর হলে এই স্তরের সিগারেটের প্রকৃত মূল্য হ্রাস পাবে, বাড়বে ব্যবহার।

ধোঁয়াবিহীন তামাক পণ্যে করারোপের ক্ষেত্রে প্রচলিত ট্যারিফ ভ্যালু প্রথা বাতিলের জন্য সাধুবাদ জানিয়েছে তামাকবিরোধী সংগঠন দুটি। প্রস্তাবিত বাজেটে প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার খুচরা মূল্য ৩০ টাকা এবং প্রতি ১০ গ্রাম গুলের খুচরা মূল্য ১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যেখানে সম্পূরক শুল্ক হবে ৫০ শতাংশ।

বিবৃতিতে বলা হয়, অপ্রক্রিয়াজাত তামাকের বিদ্যমান ১০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক তুলে দেওয়ার পাশাপাশি প্রক্রিয়াজাত তামাক পণ্য রপ্তানি উৎসাহিত করতে শূন্য শতাংশ রপ্তানি শুল্ক প্রস্তাবিত বাজেটেও অব্যাহত রাখা হয়েছে। এটি অত্যন্ত নিন্দনীয়, চরম জনস্বাস্থ্যবিরোধী পদক্ষেপ।

প্রজ্ঞা ও আত্মা জানায়, জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর বিড়ির ব্যবহার বন্ধে একাধিকবার কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের ঘোষণা দিলেও কর বাড়ানো হয়নি। বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার যে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন, তার কোনো প্রতিফলন প্রস্তাবিত বাজেটে নেই।