স্মার্টফোনের অবৈধ আমদানি উৎসাহিত হবে: বিএমবিএ

স্মার্টফোন আমদানিতে উচ্চহারে কর আরোপ করায় অবৈধ আমদানি বাড়বে বলে মনে করে বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী সমিতি (বিএমবিএ)। সংগঠনটি বলছে, এত বেশি কর দিয়ে স্মার্টফোনের যে দাম দাঁড়াবে, তাতে বৈধ পথে আমদানি করা কঠিন হবে। আশপাশের দেশের মধ্যে বাংলাদেশেই স্মার্টফোন আমদানিতে হার সবচেয়ে চড়া।

আজ বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএমবিএ এসব কথা জানায়। এতে সংগঠনটির সভাপতি মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘দেশে মুঠোফোনের কারখানা হচ্ছে। আমরাও সেটা চাই। কিন্তু অনেক ব্র্যান্ডেরই কারখানা করতে অন্তত দুই বছর সময় প্রয়োজন। এখন বাজারে ৯৭ শতাংশ মুঠোফোনই আমদানি করা হয়।’ নিজাম উদ্দিন বলেন, উচ্চহারে কর আরোপের কারণে আগামী বছর সরকার প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারাতে পারে।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে যে বাজেট প্রস্তাব পেশ করেছেন, তাতে স্মার্টফোনের আমদানি শুল্ক ১০ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। বিএমবিএ বলছে, এতে মোট করভার বেড়ে ৫৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। যা আগে ছিল ৩১ শতাংশের কম। বিএমবিএ আশপাশের দেশের হিসাব দিয়ে বলেছে, এই কর ভারতে ৩২, কম্বোডিয়ায় ১৫, মিয়ানমারে ১৭, শ্রীলঙ্কায় ৯, থাইল্যান্ডে ৭, ভিয়েতনামে ১০, মালয়েশিয়ায় ৫, সিঙ্গাপুরে ৭ ও ফিলিপাইনে ১২ শতাংশ।

এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন বলেন, দেশে কয়েকটি কারখানা তাদের নিজস্ব ব্র্যান্ডের গুটিকয়েক মডেলের স্মার্টফোন নিয়ে কাজ করে। এর বাইরে শত শত মডেলের লাখ লাখ ফোন আমদানি হয়। তারা নিজেরা দাবি করে, বাজারের ৭ শতাংশ স্মার্টফোন তারা সরবরাহ করতে পারে। আমাদের হিসাবে সেটা ৩ শতাংশের মতো। বাংলাদেশে বাকি ৯৭ শতাংশ ক্রেতাকে কিন্তু চড়া মূল্য দিয়ে মুঠোফোন কিনতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, আমদানি নির্ভর এ মোবাইল শিল্পের সঙ্গে দেশের প্রায় ৫০ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। স্মার্টফোন আমদানির ওপর অতিরিক্ত করারোপের ফলে এসব পরিবারের ভবিষ্যৎ ঝুঁকির মুখে পড়বে। সুরক্ষা পাবে গুটিকয়েক কোম্পানি। উচ্চমাত্রার সুরক্ষা তাদের প্রতিযোগিতা সক্ষমতাও বাড়াবে না।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএমবিএর সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান, সহসভাপতি মো. হোসেন হায়দার। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন সোলার ইলেকট্রো মোবাইল বাংলাদেশ লিমিটেডের অপারেশন পরিচালক সাইদ সাকলাইন, ইলেকট্রো মোবাইল লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার মো. আবু সুফিয়ান প্রমুখ।