ভ্যাটের হার কমালে ফাঁকিও কমে যাবে

জাহিদ আকতার
জাহিদ আকতার
>

নতুন মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) আইনে ভ্যাটের হার একাধিক করা হলেও রেস্তোরাঁর ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হয়নি। শীতাতপনিয়ন্ত্রিত রেস্তোরাঁয় ভ্যাটের হার ১৫ শতাংশ। সাধারণ রেস্তোরাঁয় তা সাড়ে ৭ শতাংশ। ভ্যাটের প্রভাব নিয়ে কথা বলেছেন ঢাকার বাড্ডা এলাকার শাটল ট্রেন নামের রেস্তোরাঁর সহ-উদ্যোক্তা জাহিদ আকতার। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রাজীব আহমেদ

প্রথম আলো: ঢাকায় বিগত কয়েক বছরে প্রচুর রেস্তোরাঁ গড়ে উঠেছে। এর উদ্যোক্তা আসলে কারা?

জাহিদ আকতার: এসব রেস্তোরাঁর উদ্যোক্তাদের বড় অংশ তরুণ, যাঁরা চাকরি খোঁজার বদলে উদ্যোক্তা হতে চান। অনেকে কয়েক বন্ধু মিলে রেস্তোরাঁ করেছেন। অনেকে চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের জন্যও রেস্তোরাঁ করেছেন।

প্রথম আলো: আপনাদের ব্যবসা আসলে কেমন যাচ্ছে?

জাহিদ আকতার: ব্যবসা খুব ভালো যাচ্ছে, সেটা বলা যাবে না। বেশির ভাগই সামান্য কিছু মুনাফা করতে পারছেন। কেউ কেউ এখনো লোকসানে। আমাদের ধারণা, কয়েক বছর এভাবে যাবে। মানুষের মধ্যে বাইরে খেতে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। ফলে পরিস্থিতির উন্নতির আশা আছে।

প্রথম আলো: ভ্যাটের হার নিয়ে কী বলবেন?

জাহিদ আকতার: কোনো রেস্তোরাঁ যদি মূল্যের বাইরে আলাদা ভ্যাট নিতে চায়, তাহলে সেখানে খেতে যেতে আগ্রহ কম দেখা যায়। এ কারণে আমরা মূল্যের ভেতরেই ভ্যাট রাখার চেষ্টা করি। কিন্তু তাতে চাপ অনেক বেশি হয়ে যায়।

প্রথম আলো: আপনারা কী চান?

জাহিদ আকতার: আমরা চাই ভ্যাটের হার ৫ শতাংশের কাছাকাছি হোক। এতে সবাই ভ্যাট দিতে উৎসাহিত হবে। ক্রেতাদের ওপর বাড়তি চাপ থাকবে না। উদ্যোক্তারাও অসৎ পথে যাবেন না। খাদ্যের ওপর ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট থাকা উচিত নয়।

প্রথম আলো: রেস্তোরাঁগুলোতে সাধারণত একটি ছোট পরিবার খেতে গেলে কত টাকা খরচ হয়?

জাহিদ আকতার: স্বামী, স্ত্রী ও দুটি বাচ্চা খেতে এলে সাধারণত ৮০০ টাকার কাছাকাছি বিল আসে। এর ওপর ১৫ শতাংশ হারে ১২০ টাকা ভ্যাট আসে। এটা সত্যিই চাপ তৈরি করে।

প্রথম আলো: হার কমিয়ে দিলে তো সরকারের রাজস্ব কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

জাহিদ আকতার: হার কমালেও সরকারের রাজস্ব কমবে না। কারণ, তখন সবাই স্বেচ্ছায় ভ্যাট দেবেন। সবাই ভ্যাটের আওতায় এলে রাজস্ব আদায় বাড়বে। কিন্তু হার বেশি হলে ফাঁকির চেষ্টাই বেশি থাকে।

সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রাজীব আহমেদ