প্রবাসী আয়ে প্রণোদনার নীতিমালা জারি, ২ শতাংশ নগদ সহায়তা

বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক
বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক

প্রবাসী আয়ে ২ শতাংশ নগদ সহায়তা দিতে নীতিমালা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে এখন থেকে যারা আয় পাঠাবেন, তাঁদের সুবিধাভোগীরা ২ শতাংশ বেশি টাকা পাবেন।

বাংলাদেশ ব্যাংক আজ মঙ্গলবার এ নীতিমালা জারি করে কার্যকর করার জন্য ব্যাংকগুলোর কাছে পাঠিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, প্রবাসী আয়ে প্রণোদনা দিতে বিলম্ব বা হয়রানি করা হলে ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নীতিমালা অনুযায়ী, গত ১ জুলাই থেকে যারা প্রবাসী আয় পাঠিয়েছেন, তাঁরাও সরকারের ২ শতাংশ নগদ সহায়তা সুবিধা পাবেন। আর ১ হাজার ৫০০ ডলারের কম আয় এলে কোনো নথিপত্র ছাড়াই প্রণোদনা পাওয়া যাবে। এ সুবিধা দিতে ব্যাংকগুলোকে অগ্রিম তিন মাসের প্রণোদনার অর্থ দেবে সরকার। তবে এখনই টাকা ছাড় না হলেও ব্যাংকগুলোকে সুবিধাভোগীদের প্রণোদনা দেওয়া শুরু করতে হবে।

নতুন বাজেটে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ঘোষণা অনুযায়ী, ১ জুলাই থেকে প্রবাসীরা ১০০ টাকা দেশে পাঠালে ২ টাকা প্রণোদনা পাবেন। বাজেটে এ জন্য ৩ হাজার ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

নীতিমালা অনুযায়ী, যেসব ব্যাংকে প্রবাসী আয় আসবে, তারাই সুবিধাভোগীকে ২ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা দেবে। প্রতি বার ১ হাজার ৫০০ ডলারের আয় এলে তাৎক্ষণিক সুবিধা দিতে হবে। এর বেশি আয় এলে পাসপোর্টের কপি, বিদেশি কোম্পানির নিয়োগপত্র, ব্যবসার নথিপত্র জমা দিলে নগদ সহায়তা মিলবে। এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫ দিনের মধ্যে প্রণোদনা দিতে হবে। গ্রাহককে আয় আসার তথ্য জানানোর সময় নগদ সহায়তার তথ্য আলাদাভাবে উল্লেখ করতে হবে।

কোনো গ্রাহক নিয়ম ভেঙে নগদ সহায়তা নিলে তা ফেরত দিতে হবে বলেও জানানো হয়েছে নীতিমালায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে যে হিসাব রয়েছে, তা থেকে ওই টাকা কেটে রাখবে ব্যাংকগুলো । এ কাজে জড়িত ব্যাংক কর্মকর্তাদের শাস্তিও দেওয়া হবে।

নীতিমালা অনুযায়ী, ব্যাংকগুলো পরবর্তী তিন মাসের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সরকারের প্রণোদনার তহবিল নিতে পারবে। এ ক্ষেত্রে আগের বছরের চেয়ে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে চাহিদা দিতে হবে। এ তহবিল শেষ হলেও ব্যাংকগুলোকে নিজ তহবিল থেকে প্রণোদনা প্রদান অব্যাহত রাখতে হবে। ব্যাংকগুলোকে প্রতিটি প্রণোদনার তথ্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকে দাখিল করতে হবে। এতে প্রবাসী আয় প্রেরকের জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট, গ্রহণকারী নাম ও পেশা, ব্যাংকের নামসহ আরও নানা তথ্য জমা দিতে হবে।