নাটোর সদরে বাফার সার গুদাম স্থানান্তরের দাবি ব্যবসায়ীদের

নাটোর
নাটোর

বাফার সার গুদাম নলডাঙ্গা উপজেলায় স্থানান্তর না করে নাটোর রেল স্টেশনের কাছে সরকারি জমিতে করার দাবি জানিয়েছেন সার ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, দুর্গম নলডাঙ্গা উপজেলায় এই গুদাম স্থানান্তর করা হলে ক্ষতির মুখে পড়বেন তাঁরা। টাকাপয়সা নিয়ে নিরাপদে চলাচল করতে পারবেন না।

গতকাল দুপুরে নাটোরে বাফার সার গুদাম জেলা সদর থেকে দুর্গম নলডাঙ্গা উপজেলায় স্থানান্তরের প্রতিবাদে নাটোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ব্যবসায়ীরা।

সংবাদ সম্মেলনে উত্তরবঙ্গ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি ও নাটোর জেলা বিএফএ সভাপতি আব্দুস সালাম অভিযোগ করেন, জেলা সার বীজ মনিটরিং কমিটির একাধিক সভায় গুদামটি সদরে করার সিদ্ধান্ত হলেও পরে তা উপেক্ষা করে জেলা সদর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে দুর্গম উপজেলা হিসাবে পরিচিত নলডাঙ্গায় স্থানান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নলডাঙ্গার আঁকা বাঁকা সড়কে প্রায় ৩৫ মেট্রিক টন ওজনের ট্রাক নিয়ে যাতায়াত কষ্টকর হয়ে পড়বে। এ ছাড়া নলডাঙ্গায় তেমন কোনো বড় ব্যাংক, আবাসিক হোটেল ও ট্রাক দালাল অফিস নেই।

ব্যবসায়ীরা জানান, নলডাঙ্গা উপজেলায় উগ্রপন্থীদের আনাগোনা রয়েছে। সেখানে ব্যবসায়ীরা টাকাপয়সা নিয়ে নিরাপদে চলাচল করতে পারবেন না। সাধারণ কৃষকদেরও যোগাযোগে অসুবিধা হবে। পক্ষান্তরে নাটোর রেল স্টেশনের কাছে বাফার বর্তমান সার গুদামের পাশে ৩২ বিঘা সরকারি জমি রয়েছে। সেখানে রেল ওয়াগান চলাচলের লাইন রয়েছে। এখানে গুদাম করতে সরকারকে কোটি কোটি টাকা খরচ করে জমি কিনতে হবে না। এখানে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। এতসব সুযোগ-সুবিধা থাকা সত্ত্বেও জেলার এক প্রান্তে গুদাম করার চিন্তাভাবনা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হবে বলে মনে করছেন তাঁরা। তাই তাঁরা নাটোর সদরেই বাফার ২০ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতার গুদাম নির্মাণের দাবি জানান। সরকার তাঁদের যৌক্তিক দাবি না মানলে বৃহত্তর আন্দোলনে যাবেন বলেও জানান তারা।

সভায় উত্তরবঙ্গ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য আলফাজুল আলম, মুক্তার হোসেনসহ জেলার সব উপজেলার সার ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনের দাবির ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ বলেন, নলডাঙ্গায় নতুন গুদাম করার সিদ্ধান্তটি অনেক আগের। এখন অধিকাংশ ব্যবসায়ী এটা চাচ্ছেন না। তাঁদের দাবির ব্যাপারেও আমরা আলোচনা করছি।