দেশে চীনা বিনিয়োগ এক বছরে বেড়েছে ১০ গুণ

বাংলাদেশে এক বছরে চীনা বিনিয়োগ ১০ গুণ বেড়েছে। ২০১৭ সালে এ দেশে চীনা বিনিয়োগ ছিল ৯ কোটি মার্কিন ডলারের মতো। যা ২০১৮ সালে ১০৩ কোটি ডলারে উন্নীত হয়। বহুজাতিক পরামর্শক সংস্থা প্রাইসওয়াটারহাউসকুপারস (পিডব্লিউসি) বাংলাদেশ আয়োজিত এক সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়।

মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে চীন-বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন নিয়ে এই সেমিনারের আয়োজন হয়। এতে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি, চীনে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়া এবং বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে আসছে।

প্যানেল আলোচনায় গ্লোবাল চায়না বিজনেস নেটওয়ার্কের অংশীদার উইলিয়াম ইউয়ান বলেন, বাংলাদেশের ভোগ্যপণ্যের বাজার নিয়ে চীনারা উৎসাহী। অবকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগের সুযোগও তারা নিতে চায়।

এর আগে বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুবিধাগুলো তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রতিবেশীদের চেয়ে বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুবিধা বেশি।

বহুজাতিক ব্যাংক স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাসের এজাজ বিজয় বলেন, নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ থাকার পরও বাংলাদেশ অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। আরেক বহুজাতিক ব্যাংক এইচএসবিসি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী ফ্রাঁসোয়া ডি মারিকো বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দ্রুত অর্থনৈতিক অগ্রগতির দেশ।

পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বাংলাদেশ ও চীনের জনগণের জীবনমানের উন্নয়নের অর্থনৈতিক সহযোগিতার কথা বলেন।

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সরকারের বড় বড় পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে বলেন, চীনারা এ ক্ষেত্রে সহযোগী হতে পারে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন পিডব্লিউসি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা অংশীদার মামুন রশীদ। এ ছাড়া বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী, বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেপজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান এস এম সালাহউদ্দিন ইসলাম, চীনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব উজ জামানসহ পিডব্লিউসির চীন ও ভারতের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।