চাল ভোগেও বিশ্বে চতুর্থ বাংলাদেশ

এশিয়াজুড়ে জীবনযাপনের অন্যতম বড় অনুষঙ্গ চাল, বিশেষ করে খাদ্যাভ্যাসে। একটু দরিদ্র অঞ্চলে কারও সঙ্গে দেখা হলে হয়তো ‘কেমন আছ’ বলার পরিবর্তে বলেন, ‘আজ ভাত খেয়েছেন?’ বিশ্বে যত চাল খাওয়া হয়, তার ৯০ শতাংশই হয় এশিয়ায়। আবার চীন, ভারত ও ইন্দোনেশিয়ায় চাল খাওয়া হয় মোট ভোগের ৬০ শতাংশ। বিশ্বের ৩৫০ কোটির বেশি মানুষের প্রধান খাদ্য ভাত।

পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় এশিয়ায় মাথাপিছু চাল ভোগের পরিমাণও বেশি। ১৯৬০ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে গড়ে চাল ভোগের পরিমাণ ৮৫ কিলোগ্রাম থেকে বেড়ে হয়েছে ১০৩ কিলোগ্রাম। এশিয়ার অনেক দেশেই চাল প্রধান কৌশলগত পণ্য। এ পণ্যটির দামের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আছে অনেক দেশের স্থিতিশীলতার বিষয়টিও।

তবে এশিয়ায় চালের ভোগ আগের তুলনায় ইদানীং কিছুটা কমেছে। বেনেট ল বলছে, একটি দেশের মানুষ যত বেশি সম্পদশালী হবে, তারা তত বেশি ক্যালরি গ্রহণ করবে সবজি, ফল, মাংস, মাছও দুগ্ধজাত পণ্য থেকে। আবার অনেকে ভাতের পরিবর্তে গমজাতীয় পণ্যের ওপর নির্ভরতা বাড়ায়।

চাল ভোগের দিক থেকেও স্বাভাবিকভাবেই চীন আছে সবার ওপরে। এরপরই ভারত ও ইন্দোনেশিয়া। বাংলাদেশ আছে চতুর্থ অবস্থানে। তালিকায় থাকা বাকি ছয়টি দেশ হচ্ছে ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, জাপান ও ব্রাজিল। বলে রাখা ভালো, চাল উৎপাদনের দিক থেকেও বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে চতুর্থ। আর প্রথম তিনটি স্থানও একই রকম। যেমন চীন, ভারত ও ইন্দোনেশিয়া।

চাল উৎপাদনে শীর্ষ ১০

১. চীন                        ১৪২,৪৮৭

২. ভারত                     ৯৮,৮১৯

৩. ইন্দোনেশিয়া              ৩৮,১০০

৪. বাংলাদেশ                 ৩৫,২০০

৫. ভিয়েতনাম                ২২,১০০

৬. ফিলিপাইন                ১৩,২৫০

৭. থাইল্যান্ড                 ১০,৬০০

৮. মায়ানমার                 ১০,২০০

৯. জাপান                     ৮,৬০০

১০. ব্রািজল                  ৭,৮০০ হাজার টনে

সূত্র: ইউডিএসএ